তিনটি ঝান্ডা প্রসঙ্গে-কিতাবুল-ফিতান
তিনটি ঝান্ডা প্রসঙ্গে-কিতাবুল-ফিতান
হযরত আরতাত রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, যখন তুর্কী, রোম এবং খাসাফ জাতি দিমাশকের এক প্রান্তরে জমায়েত হবে এবং দিমাশকের মসজিদের পশ্চিম প্রান্তে আরেকদল ভূপাতিত হবে তখনই শাম দেশে আরকা, আসহাফ এবং সুফিয়ানীদের তিনটি ঝান্ডা প্রকাশ পাবে।
দিমাশক এলাকাকে জনৈক লোক অবরুদ্ধ করে রাখবে। এক পর্যায়ে সেই লোক এবং তার সাথীদেরকে হত্যা করা হলে বনু সুফিয়ান থেকে আরো দুইজন লোকের আত্ন প্রকাশ হবে। তখন যেন দ্বিতীয় বিজয় পাওয়া গেল।
অতঃপর যখন আরকা গোত্রের লোকজন মিশর থেকে এগিয়ে আসবে তখনই সুফিয়ানী তার সৈন্যদের সাহায্যে তাদের সামনে আত্নপ্রকাশ করবে। রোম এবং তুর্কীরা মিলে কারকায়সিয়া নামক স্থানে তাদেরকে হত্যা করবে এবং তাদের গোশত দ্বারা জঙ্গলে বাঘ-ভল্লুকরা তৃপ্ত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৩৩ ]
হযরত আবু উমাইয়া আল কালবী রহঃ একজন প্রবীন শেখ থেকে বর্ননা করেন, যিনি জাহেলি যুগ পেয়েছিল এবং তার উভয় চোখের উপর থেকে ভ্রু খসে পড়েছে তিনি বলেন, যখন কালো ঝান্ডার অধিকারীদের মাঝে মতপার্থ সৃষ্টি হবে তখন তারা তিন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে। একদল বনু ফাতেমার দিকে আহবান করবে, দ্বিতীয়দল বনুল আব্বাছের দিকে ডাকবে অন্যদল ডাকবে নিজেদেরর দিকে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৩৪ ]
হযরত মুহাম্মদ ইবনুল হানাফিয়া রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন তাদের মাঝে মতানৈক্য দেখা দিবে তখন শাম দেশে তিন ধরনের ঝান্ডা প্রকাশ পাবে। তার একটি হচ্ছে, আবকা জাতির ঝান্ডা।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৩৫ ]
হযরত সাঈদ ইবনে আসওয়াদ, যি কারইয়াত থেকে হাদীস বর্ননা করেন, তিনি বলেন, লোকজন চারদলে বিভক্ত হয়ে যাবে। দুইজন হবে শাম দেশে। অন্য জন হবে হাকাম বংশ থেকে শুভ্র রংয়ের অধিকারী আসহাব নামক এক লোকল অন্য আরেক জন হচ্ছে, মুজার গোত্রের একটু খাটো প্রকৃতির, যে কঠিন স্বভাবের। তৃতীয় জন হচ্ছে, সুফিয়ানী আর চতুর্থজন হলো, মক্কা নগরীতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন কারী। মোট এ চারজন লোক চার দলের নেতৃত্ব দিবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৩৭ ]
নোটঃ চতুর্থজন হবেন ইমাম মাহাদি
হযরত আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে আলী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, শাম দেশে মোট চারজন লোককে হত্যা করা হবে। তাদের প্রত্যেকে খলীফার সন্তানদের অন্তর্ভুক্ত। একজন বনু মারওয়ান থেকে, আরেকজন আবু সুফিয়ানের বংশধর, এদিকে সুফিয়ানী মরওয়ানের উপর বিজয়ী হবে। এবং তাদেরকে হত্যা করবে। অতঃপর মরওয়ানের সন্তানরা তার পিছু নিয়ে তাকেও হত্যা করে ফেলবে। এরপর তারা বনু আব্বাছ মাশরিকের দিকে যেতে থাকবে এবং কুফা নগরীতে প্রবেশ করবে।
বর্ননাকারী আবু জাফর রহঃ বলেন, মারওয়ানের বংশের একজন সুফিয়ানীর সাথে বিবাদে জড়িয়ে পড়বে এবং তাকে সুফিয়ানী মারওয়ানীদের উপর জয়লাভ করবে এবং তাকে হত্যা করবে। এর প্রতিশোধ হিসেবে মারওয়ানের সন্তানরা তিনমাস পর্যন্ত যুদ্ধ বিগ্রহ চালিয়ে যাবে এবং মাশরিক বাসিদের সাথে কুয়াফ প্রবেশ করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৩৮ ]
ওয়ালিদ রাঃ বলেন, আমাকে খালেদ ইবনে ইয়াযিদ ইবনে মোয়াবিয়ার জনৈক মওলা সংবাদ দিয়েছে যে, তিনি মারাত্নক এক রোগে আক্রান্ত হয়ে কূফা থেকে বের হবে এবং আরিক নামক স্থানের মাঝামাঝি জায়গায় মৃত্যু বরন করবে। মূলতঃ হঠাৎ কোনো সমস্যায় জড়িত হয়ে মারা যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৩৯ ]
হযরত কা'ব রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, তৎকালীন যুগের অন্ধকারাচ্ছন্নতায় নিমজ্জিত লোকজন খুনোখুনির জন্য একত্রিত হবে। এক পর্যায়ে তারা তাদের দুশমনদেরকে নিজের এবং দেশের বন্ধু মনে করবে। তাদের সবচেয়ে অনিষ্টতার মূল লোকটি এগিয়ে আসলে তারা তাকে চিনতে পারবেনা। সে একজন মধ্যবর্তী লোক এবং কোকড়ানো চুল ও কুটরাগত চোখ বিশিষ্ট। তার উভয় চোখ হবে ভ্রু শুন্য।
যে যুগের শেষের দিকে তারা বিশৃঙ্খলা ও খুনোখুনি করার জন্য জমা হবে তখন সে মনসূরের দিকে দৃষ্টিপাত করলে, তৎক্ষনাৎ মনসূর মৃত্যু কোলে ঢলে পড়বে। তারা ঐ সময় বিভিন্ন শহরে বিক্ষিপ্ত হয়ে পড়বে। তাদের কাছে সংবাদটি পৌছার সাথে সাথে সকলে দৌড় দিয়ে এসে আব্দুল্লাহর হাতে বাইয়াত গ্রহন করবে। এবং সুফিয়ানী ফেরৎ যাবে এক পর্যায়ে পশ্চিমারা জমায়েত হবে, এমন জমায়েত যা ইতিপূর্বে কখনো দেখা যায়নি।
অতঃপর কুফা থেকে একদল সৈন্য বের হয়ে আসবে। অন্যদিকে বসরা থেকেও সৈন্য বের হবে। তখনই জ্বলে- পুড়ে এবং ডুবে গিয়ে সর্বসাধারন ধ্বংস হয়ে যাবে। এসময় কুফা নগরীতে বিভিন্ন ধরনের আঘাত আসতে থাকবে পশ্চিমাদের পক্ষ থেকে আরেকদল প্রকাশ পাবে, আর তখনই ঘটে যাবে ছোট খাট একটা বিপ্লব।
ঐ সময় আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর ধ্বংস হবে। অতঃপর সকলে হিমস নগরীতে হামলা করে বসবে এবং দিমাশকে আগুন দেয়া হবে। ফিলিস্তিন থেকে এক লোক বের হয়ে আসবে এবং যারা তার কাছে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করবে বিজয়ী হবে। তার হাতেই মূলতঃ মাশরিক বাহিনী ধ্বংস হবে, তার রাজত্ব স্থায়ী থাকবে মহিলাদের পেটে গর্ভের সন্তান থাকার সময় পর্যন্ত।
তার জন্য কুফার সৈন্য বাহিনী থেকে তিনটি দল এগিয়ে আসবে। এসময় কুরাইশ বংশের বিভিন্ন ঘর আক্রান্ত হবে এবং তাদের দিন যাপন করা কঠিন হয়ে পড়বে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৪০]
হযরত আলী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন কালো ঝান্ডা বাহীরা পরস্পর মতানৈক্যে লিপ্ত হবে তখন আরম জনপদের একাংশ ধ্বসে পড়বে এবং তার পশ্চিম পার্শ্বের মসজিদের এক সাইড ধ্বংস হয়ে যাবে। অতঃপর শাম দেশ থেকে তিন প্রকারের ঝান্ডা আত্নপ্রকাশ করবে। আসহাব, আরকা এবং সুফিয়ানীর ঝান্ডা। সুফিয়ানী বের হবে শাম দেশ থেকে, এক পর্যায়ে সুফিয়ানী সবদলের উপর জয়লাভ করবে
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৪১ ]
হযরত ইবনে যুরাইর রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকজন চারজন জালেমের ক্ষেত্রে মতপার্থক্য হয়ে যাবে। একজন হবে প্রতাপশালী, যে নিজের জন্য খেলাফতের বাইয়াত করাবে। লোকজনকে একশত একশত করে দান করতে থাকবে। অন্য দুইজন শাম দেশের বাসিন্দা তারাও মানুষকে এত বেশি দান করবে, যা ইতোমধ্যে কেউ করেনি। তাদের দুই জন থেকে যে দামেস্কের বিজয়ী হবে, সে লোকই হবে শাম দেশের নেতৃত্ব দানকারী।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৪৩ ]
আম্মার ইবনু ইয়াসার রাঃ বলেন, তিনজন লোক প্রকাশ পাবে, প্রত্যেকে রাজত্বের দাবি করবে। একজন আবকা দ্বিতীয়জন আসহাব, অন্য আরেকজন হচ্ছে আবু সুফিয়ানের পরিবার থেকে। যে সাথে কুকুর নিয়ে বের হবে এবং লোক জনকে বন্দি করে রাখবে ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৪৪ ]
হযরত আলী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, শাম দেশে তিন ঝান্ডা বিশিষ্ট তিনজন লোক আত্নপ্রকাশ করবে, একজন আসহাব, দ্বিতীয়জন আবকা এবং তৃতীয়জন হবে, সুফিয়ানী। সুফিয়ানী বের হবে শাম দেশ থেকে, আবকা বের হবে মিশর থেকে। তবে সুফিয়ানী তাদের উপর জয়লাভ করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৪৫ ]
হযরত যি কারাইয়াত রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন করেন লোকজন সফর মাসে বিভিন্ন মত বিরোধে জড়িয়ে যাবে এবং চারজন লোকের অনুসরন করার মাধ্যমে পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। একজন হচ্ছে, মক্কাতে আশ্রয় গ্রহনকারী, দুইজন শামের অধিবাসী, তাদের একজন হচ্ছে সুফিয়ানী, অন্য জন আসহাব নামের শুভ্র রংয়ের অধিকারী হাকামের বংশ ধরদের থেকে চতুর্থজন হচ্ছে, মিশরের এক প্রতাপশালী লোক।
কিন্দাহ গোত্রের একলোক রাগান্নীত হয়ে শামের দিকে ছুটবে। অতঃপর মিশরের একটি বিশাল বাহিনী ধেয়ে আসবে এবং ঐ প্রতাপশালী লোককে হত্যা করবে আর মিশরকে শুকনো গবরের ন্যায় চূর্ণবিচূর্ণ করে ফেলবে। অতঃপর মক্কায় আশ্রয় নেয়া লোকটির প্রতি বাহিনী প্রেরন করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৪৬ ]
আবু ওয়াহাব কালাঈ রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, বর্বর জাতির ব্যাপারে আরব এবং লোকজনের মাঝে বিভিন্ন ধরনের মত পার্থক্য সৃষ্টি হবে ঐ সময় লোকজন চার ঝান্ডার আত্নপ্রকাশ হওয়া দেখবে। তখন বিজয় হবে কুজা বাসিদের জন্য। তাদের নেতৃত্বে থাকবে আবু সুফিয়ানের বংশধরদের একজন।
বর্ননাকারী ওলীদ বলেন, অতঃপর সুফিয়ানী এগিয়ে আসবে এবং বনু হাসেম ও বাকি তিন ঝান্ডা বিশিষ্ট তাকে প্রতিরোধ কারীদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হবে। সে একক ভাবে তাদের সকলের উপর জয়ী হবে এবং কুফার দিকে যেতে থাকবে আর বনু হাশেমকে ইরাকের দিকে বিতাড়িত করবে। অতঃপর কুফা থেকে ফিরে এসে শামের নিম্ন ভূমিতে মারা যাবে। আবু সুফিয়ানের সন্তানদের থেকে অন্য আরেকজন লোক খলিফা হওয়ার দাবি করবে এবং সকলের উপর তারই জয় হবে। সে লোক হচ্ছে সুফিয়ানী।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৪৮ ]
হযরত আবু জাফর রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন আবকা নামক লোকটি বিশালদেহী কিছু লোককে সাথে নিয়ে জয়লাভ করবে তখন তাদের মধ্যে মারাত্নক এবং ভয়াবহ এক যুদ্ধ সংঘঠিত হবে। অতঃপর সুফিয়ানী মালউন আত্মপ্রকাশ করে তাদের উভয়ের সাথে যুদ্ধ করে উভয়ের উপর জয়লাভ করবে।
অতঃপর মনসূর আল-ইয়ামানী সানা থেকে স্বসস্ত্র অবস্থায় তাদের উপর হামলা করবে। তার কঠোরতা অনেক বেশি হবে, যার কারনে মানুষকে জাহেলী যুগের ন্যায় নির্মমভাবে হত্যা করবে। সে এবং আখওস আর তার অধীনস্থরা পরস্পরের সাথে স্বাক্ষাৎ করবে কাপড়- চোপড় রক্তে রঞ্জিত অবস্থায়। তাদের মাঝে আবারো ভয়াবহ যুদ্ধ হবে। আখওসে সুফিয়ানী জয়লাভ করবে।
এরপর রোম বাসিরাও জয়লাভ করে শাম দেশে যেতে থাকবে। এরপর সুফিয়ানী ও কিন্দাহর সুন্দর একটা স্থানে আত্নপ্রকাশ করবে। সে যখন সামা পাহাড়ে আরোহন করবে তখন এগিয়ে আসবে এবং ইরাকের দিকে যেতে থাকবে। অবশ্যই এর পূর্বে কুফা নগরীতে বারো প্রকারের প্রসিদ্ধ ঝান্ডা উত্তোলন করা হবে এবং কুফায় হযরত হাসান কিংবা হোসাইন রাযিঃ এর সন্তানদের একজনকে হত্যা করা হবে। যে লোকজনকে তার পিতার প্রতি দাওয়াত দিচ্ছিল। মাওয়ালীদের একজন প্রকাশ পাবে। যখন তার সার্বিক অবস্থা স্পষ্ট হয়ে যাবে এবং ব্যাপকহারে লোকজনকে হত্যা করা হবে তখন তাকে হত্যা করার জন্য সুফিয়ানী এগিয়ে আসবে এবং সে সফল হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৪৯ ]
হযরত কা'ব রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন রমাযান মাসে দুইবার ভূমিকম্প হবে তখন আহলে বায়তের তিনজন লোক আর্তচিৎকার করে উঠবে। তাদের একজন বড়ই দাপট প্রদর্শন করবে এবং অন্যজন সহনশীলতা ও ধৈর্য ধারর চেষ্টা করবে। তৃতীয়জন হত্যা করার জন্য এগিয়ে যাবে। তার নাম হবে আব্দুল্লাহ ফুরাত নদীর তীরে বিশাল এক জমায়েত অনুষ্ঠিত হবে প্রত্যেকে সম্পদ অর্জনের জন্য যুদ্ধে লিপ্ত হবে এবং যুদ্ধ করতে করতে প্রত্যেক নয়জনের সাতজনই মারা যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৫০ ]
নোট: বর্তমানে ফুরাত নদীর যে অবস্থা তাতে অনেক গবেষকই এই সন্দেহ প্রকাশ করছে যে, ফুরাত নদীর তীরে আসন্ন এই যুদ্ধ মনে হয় খুব একটা দেরি নেই। বিশ্বের পরাশক্তির দেশগুলোও ক্রমেই এসব অঞ্চলের দিকে মনোনিবেশ করছে। আমেরিকা, রাশিয়া আগ থেকেই সেখানে উপস্থিত, বর্তমানে তুরস্কও এখানে যুদ্ধের মোড়কে আরও বেগ করার জন্য অন্যরকম এক পরিস্থিতি তৈরি করে ফেলছে। অবস্থা ক্রমেই সঙ্কটাপন্ন হচ্ছে। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে না, খুব শিগগির এসব সমাধান হবে। হাদিসে বর্ণিত সিরিয়া যুদ্ধের ১২ বছর পূর্ণ হচ্ছে তেইশ সালে। আল্লাহ-ই ভাল জানেন বিশ্বের মহাযুদ্ধ আর কতদিন আছে।
ইবনে শিহাব যুহরী থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, যখন ফুরাত নদীর ব্রীজের পাদদেশে হলুদ এবং কালো পতাকাবাহী বাহিনী জমায়েত হবে তখন মাশরিক বাহিনী পৃষ্ঠপ্রদর্শন করে পরাজিত হবে। এক পর্যায়ে তারা ফিলিস্তিনে এসে পৌছবে ঐ সময় সুফিয়ানি মাশরিক বাসিদের উপর হামলা করবে। পশ্চিমারা জর্দনে এসে পৌঁছলে তাদের নেতা মারা যাবে এবং তারা তিন দলে বিভক্ত হয়ে যাবে। এক দল যেদিক থেকে এসেছিল সেদিক চলে যাবে, দ্বিতিয় দল হজ্বের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিবে, অন্যদল নিজেদের অবস্থানে অটল থাকবে এবং সুফিয়ানী তাদের উপরআক্রমন করবে ও তাদের পরাজিত করবে। তারা পরাজয় স্বীকার করে নিয়ে সুফিয়ানীর অনুগত হয়ে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৫১ ]
ইবনুল হানাফিয়া রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানী আবকাদের উপর জয়লাভ করে মিশরে প্রবেশ করলে মিশর বিরান ভূমিতে পরিনত হয়ে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৫২ ]
আমর ইবনুল হারেস থেকে বর্নিত, বকর ইবনে সুওয়াদা তাকে সংবাদ দিয়েছেন, তিনি আবু যামআ আব্দুল্লাহ ইবনে আমর এবং আবু যর গিফারী রাযিঃ থেকে বর্ননা করেন, তারা সকলে এরশাদ করেন, মিশর দেশ থেকে নিরাপত্তা অনেক আগে উঠে যাবে। বর্ননা কারী খারেজা বলেন, আমি আবু যর গিফারী রাখিঃ কে জিজ্ঞাসা করলাম, তখন কি মিশরে উপদেশ দানকারী কোনো ইমাম থাকবেনা? জবাবে তিনি বলেন, না, তখন সব ইমামের হত্যা আখেরী পর্যায়ে পৌঁছে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৫৩ ]
হযরত কা'ব রহঃ থেকে বর্নিত, নিঃসন্দেহে মিশর ভূখন্ডকে টুকরো করা হবে যেমন পশুর শুকনো লাদি একটা থেকে আরেকটা বিচ্ছিন্ন থাকে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৫8 ]
হযরত যি কারাইয়াত রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, যখন তুমি বনু উমাইয়ার জনৈক ল্যাংড়া লোককে মিশরে দেখতে পাবে তখন দ্রুত তুমি নিজের তাবু থেকে বের হয়ে যাও কেননা, তাকে তার ঘরের এক লোক হত্যা করবে। অতঃপর তাদের প্রতি শাম দেশ থেকে একটি বিশাল বাহিনী প্রেরন করা হবে। তখন কিন্দাহর এক লোক তার প্রতি তাবুর খূটি নিক্ষেপ করবে। তাদের অনুসরন করে প্রথম এবং দ্বিতীয় দল মারা যাবে এবং বলবে আমিই তোমাদের জন্য এক্ষেত্রে যথেষ্ট। তারা তখন বাহিনী সহকারে এগিয়ে আসবে এবং ঐ লোককে এবং তার অনুসারীকে হত্যা করবে। এক পর্যায়ে মিশর বাসিকে অবরুদ্ধ করে রাখবে এবং তাদের মাজন বাজারের দিকে নিয়ে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৫৫ ]
Comments 0