পশ্চিমা এবং বর্বরদের পক্ষ থেকে আগত ফিতনা-কিতাবুল-ফিতান
পশ্চিমা এবং বর্বরদের পক্ষ থেকে আগত ফিতনা-কিতাবুল-ফিতান
ওলীদ ইবনে ইয়াযিদ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কালো পতাকাবাহী হয়ে যখন তুর্কী সম্প্রদায় বের হয়ে আসবে, তখন তোমারা তাদের ঘোড়ার যৌবন নিঃশ্বেস হয়ে যাওয়া পর্যন্ত তাদের সাথে যুদ্ধ করতে থাকো, যতক্ষন না পশ্চিমারা বের হয়ে আসে।
[ আল ফিতান নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৪৭ ]
ইসমা ইবনে কাইস সাহাবী রাযিঃ পাশ্চত্যের ফিতনা থেকে আল্লাহ তা'আলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। তাকে যখন বলা হলো, মাগরিবী ফিতনা সম্বন্ধে আপনার ধারনা কি? তিনি জবাবে বললেন, মাগরিবী ফিতনা এর থেকে আরো মারাত্নক ও ভয়াবহ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৪৮ ] [ মাজমাউয যাওয়াইদঃ ৭/২২৩ ]
নোটঃ মাগরিবী অর্থাৎ পশ্চিমা
ইসমা ইবনে কাইস সুলামী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি সর্বদা তার নামাযে মাগরিবী ফিৎনা থেকে আল্লাহ তাআলার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৪৯]
ওলীদ ইবনে মুসলিম থেকে বর্নিত, তিনি নাজীব থেকে শুনে বর্ননা করেন, তিনি ইবনুল মুসাইয়্যাবকে বলতে শুনেছেন, মাগরিব বাসীদের জন্য কাফের শাসকের অধীন থাকা অতীব জরুরী।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫০ ]
মুহাম্মদ ইবনে কা'ব কুরাজি থেকে শুনে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, পশ্চিমারা একসময় পৃথিবী শাসন করবে। কতইনা জঘন্য হবে তাদের শাসন ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫১]
নোট: আজকের পৃথিবীর চিত্র দেখুন। পৃথিবী কি তার রঙ ধরে রাখতে পারছে? রক্ত আর আগুনে তা কবেই হারিয়ে গেছে। মানবতা আর সুবিচার এখন কল্পনাবিলাস! প্রকৃত শান্তির পায়রা কবেই মারা গেছে তাদের যুদ্ধের আগুনে পুড়ে। যা পুড়েনি তা যেন এখন ধুকে ধুকে মরছে!
আবু কাবীল রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, পশ্চিমাদের নেতৃত্ব দিবে আব্দুর রহমান নমক একজন লোক। কতই না মারাত্নক হবে তার রাষ্ট্র পরিচালনা।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫২ ]
প্রেসিদ্ধ সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, আসমানের নিচে বর্বর জাতি থেকে নিকৃষ্টতম কোনো জাতি নেই। আল্লাহ তাআলার রাস্তায় সামান্য পরিমান জায়গা সদকা করা আমার কাছে শত বর্বর জাতি আযাদ করা থেকে অনেক উত্তম।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫৩ ]
উম্মুল মুনিনীন হযরত আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, একদা হযরত আয়েশা রাঃ রাসূলুল্লাহ সাঃ কে কিছু সদকা করতে বলে বললেন, এ সদকা থেকে যেন বর্বর জাতির কাউকে কোনো কিছু দান করা না হয়। যদি ও সেগুলো কোনো কুকুরকে ভক্ষন করানো হলেও।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫৪ |
হযরত কা'ব রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, পশ্চিমারা হচ্ছে, অন্ধ ফিৎনা। তার বাসিন্দারা হচ্ছে, উলঙ্গ এবং খালি পায়ে। তারা আল্লাহ তা'আলার দ্বীন সম্বন্ধে কিছুই জানেনা। তারা মাটিতে এমন ভাবে বিচরণ করে, যেমন ষাঁড় তার খাবারকে মাড়াতে থাকে। সুতরাং তোমরা তাদের সাক্ষাত পাওয়া থেকে আল্লাহ তা'আলর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতে থাকো।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫৫ ]
নোট: এ হাদিসের সঙ্গে আজ পশ্চিমাদের জীবনব্যবস্থা মিলিয়ে নিন, সম্পূর্ণ মিলে যাবে। তবে দুঃখের বিষয় হচ্ছে, হাদিসে তাদের সাক্ষাত পাওয়া থেকে আশ্রয় চাইতে বলা হয়েছিল, কিন্তু আজ আমরা তাদের অংশ হতে পারলে, অথবা সে দেশের একটি আমন্ত্রণ পেলে যেন নিজেকে গর্বিত মনে করি।
এখানেই আমাদের ইমানের মাপঝোপ হয়ে যাচ্ছে। আমরা উচ্চতর শিক্ষার নামে সে দেশে পাড়ি জমাচ্ছি। উন্নত জীবন যাপন করতে সেখানে যাচ্ছি। সে দেশে ঘুরতে যাচ্ছি। আর অর্থবৈভব থাকলে তো সকালের মার্কেট করতেও সেখানে যাওয়ার কথা ভাবি। আবার আমাদের দেশকে তাদের মত উন্নত করতে, তাদের আচার অভ্যাসগুলো আমাদের সমাজে বাস্তবায়ন করার কথা চিন্তা করি। তাদের মত এদেশকেও পরিণত করার স্বপ্ন দেখি!
হযরত তুবাঈ রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, মাগরিব বাসিদের নেতৃত্ব দানকারী হবে আব্দুর রহমান ইবনে হিন্দ। লোকটি অনেক লম্বা প্রকৃতির হবে এবং তার সামনে এমন একজন লোক থাকবে, যার নাম হবে শয়তানের নাম। যারা তার অধীনে যুদ্ধ করবে, তাদের ধ্বংস অনিবার্য এবং তাদের শেষ গন্তব্য হবে জাহান্নাম ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫৬]
মাসলাম ইবনে আব্দুল মালিক রহঃ বলেন, নিঃসন্দেহে ছয়মাস পর্যন্ত মাগরিব বাসীরা হিমস নামক শহরটি দখল করে রাখবে। বর্ননাকারী মাসলামা বলেন, যেন আমি ছয় মাসের জন্য অবরুদ্ধ হিমসকে স্বচক্ষ্যে দেখেছি। অতঃপর সাকার বলেন, আমি সাঈদ ইবনে মুহাজির আল ওয়াসসাবী রহঃ কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, যখন আরবদেশ ফিৎনায় আক্রান্ত হবে, তখন তুমি ইয়ামেনের দিকে চলে যাও। কেননা, উক্ত ফিৎনা থেকে ইয়ামেন ছাড়া অন্য কোনো দেশ তোমাদেরকে রক্ষা করতে পারবেনা ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫৭]
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত ইসমা ইবনে কাইস রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি সর্বদা নামাযে আল্লাহ তা'আলার কাছে মাশরিকী ফিৎনা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। এরপর যে ফিত্না থেকে মুক্তি চাইতেন, সেটা হচ্ছে মাগরিবী ফিৎনা।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫৮ ]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন, তোমাদেরকে আমি মাশরিকের দিক থেকে আগত ফিৎনা থেকে ভয় প্রদর্শন করছি। এর পর মাগরিবের দিক থেকে আগত ফিৎনা সম্বন্ধে আশংকা প্রকাশ করছি।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৫৯ ] [ আল জামিউল কাবিরঃ ১/১৮১ ]
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, ফিতনা ও খারাপিকে মোট সত্তর ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। তার থেকে ঊনসত্তর ভাগ হচ্ছে বর্বর জাতির মধ্যে, আর মাত্র এক অংশ হচ্ছে অন্য সকল মানুষের মধ্যে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৬০ ]
কতিপয় মাশায়েখ থেকে শুনা গেছে, তিনি রাসূলুল্লাহ সাঃ থেকে বর্ননা করেন, বর্বর জাতির নারীরা তাদের পুরুষের তুলনায় অনেক ভালো। বর্বর জাতির প্রতি একজন নবী প্রেরন করা হলে তারা তাঁকে হত্যা করে এবং তাদের নারীগন ঐ নবীর দাফনের ব্যবস্থা করে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৬১ ]
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আনাস রাখিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আমি একদিন বর্বর গোত্রের এক কাজের ছেলে কে নিয়ে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর দরবারে উপস্থিত হলে তিনি বললেন, আমার পূর্বে এ গোত্রে একজন নবী এসেছিলেন, কিন্তু তাকে তারা যবেহ করে তার গোশ্তকে পাক করার পর ভক্ষন করে এবং তার ঝোলকে পান করেছিল।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৬২ ]
হযরত সাফওয়ান থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হিমস বিজয়ে অংশ গ্রহনকারীদের কেউ কেউ বলেন, হিমস শহর বসবাসকারী কতিপয় রোমের বাসিন্দা সর্বদা বর্বর জাতি কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ার ব্যাপারে শঙ্কিত থাকতো এবং তারা বলতো সাফওয়ান হিমস শহরেকে তাম্রা করে নাম করন করার পর বলতেন হে তাম্রা বর্বর জাতি কর্তৃক তোমার ধ্বংস হোক।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৬৩ ]
Comments 0