শাম দেশে ফিতনার সূচনা-কিতাবুল ফিতান
শাম দেশে ফিতনার সূচনা-কিতাবুল ফিতান
আব্দুর রহমান ইবনে যুবায়ের ইবনে নুফাইর, রোমের সম্রাট থেকে বর্ননা করেন তিনি বলেন, আমাদের এবং আরব বাসীদের উদাহরন হচ্ছে, সেই ব্যক্তির ন্যায়, যার একটি ঘর ছিল এবং সেই ঘরে একটি গোত্রকে থাকতে দিয়ে বলল, তোমরা শান্তি-শৃংঙ্খলা বজায় রেখে এখানে অবস্থান করবে। খবরদার! কোনো ধরনের ফিৎনা-ফাসাদ এবং বিশৃংঙ্খলা করবেনা। যদি এরকম কিছুর আভাস পাই তাহলে কিন্তু তোমাদেরকে বের করে দিব। তারা অনেক দিন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করল।
অতঃপর কিছুদিন পর জানা গেল যে, তারা বিভিন্ন ধরনের বিশৃংঙ্খলায় লিপ্ত হয়ে পড়েছে। যার কারনে তাদেরকে বের করে দিয়ে অন্য আরেক গোত্রকে থকতে দিল এবং পূর্বের লোকদের থেকে যেমন শর্ত নিয়েছিল এদের উপরও কোনো ধরনের বিশৃংঙ্খলা না করার শর্ত আরোপ করে।
ঘর হচ্ছে, শাম দেশ, ঘরের মালিক হচ্ছে আল্লাহ তা'আলা, আর ঘরে অবস্থাকারী হচ্ছে, বনী ইসরাঈল তারা দীর্ঘদিন পর্যন্ত শামের বাসিন্দা ছিল, অতঃপর তারা বিভিন্ন ধরনের ফিৎনা-ফাসাদ ও বিশৃংঙ্খলায় লিপ্ত হয়ে পড়ে। যার কারনে মালিক জানতে পেরে তাদেরকে সেখান থেকে বের করে দেয়।
এরপর সেখানে আমরা দীর্ঘদিন পর্যন্ত অবস্থান করতে থাকি। পরবর্তিতে আমাদের খবর জানা গেল, আমরাও নানান ধরনের বিশৃংঙ্খলায় লিপ্ত হয়ে গিয়েছি। যার কারনে আমাদেরকে বের করে দিয়েছে।
হে আরববাসী তোমাদেরকে থাকতে দেয়া হয়। যদি তোমারা ভালো ভাবে জীবন যাপন করতে পারো তাহলে তোমরাই হবে এর স্থায়ী বাসিন্দা। আর যদি তোমরাও ফিৎনা-ফাসাদ এবং গুনাহের কাজে লিপ্ত হয়ে যাও তাহলে তোমাদের পূর্ববর্তীদের মত তোমাদেরকেও বের করে দেয়া হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৫৫ ]
কা'ব রাঃ থেকে বর্নিত, শাম দেশে মোট তিন ধরনের ফিৎনা দেখা দিবে। একটি ফিৎনা হচ্ছে, অবাধ রক্তপাতের ফিৎনা, দ্বিতীয় ফিৎনা হচ্ছে, আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন ও সম্পদ ছিনিয়ে নেয়ার ফিতনা। উক্ত ফিৎনার সাথে সম্পৃক্ত হবে মাগরিবের ফিৎনা, যা মূলতঃ অন্ধ ফিতনা হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৫৬ ]
ইবনে কুররা তার পিতা কুররা ইবনে হায়দা রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সঃ থেকে বর্ননা করেন, রাসূলুল্লাহ সঃ এরশাদ করেন, শামবাসী ধ্বংস হলে আমার উম্মতের জন্য তেমন কোনো কল্যান বয়ে আনবে না ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৫৭ ] [ ফাজায়েলুশ শামঃ ৩১ ]
ইবনে ফাতেক আসাদী থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, শামবাসীরা জমীনে আল্লাহ তালার পক্ষ থেকে শাস্তি দেয়ার যন্ত্র বেত এর ন্যায়, যাদের সহায়তায় যার থেকে ইচ্ছা প্রতিশোধ নিতে পারে। মুনাফিকদের জন্য মুসলমানদের উপর বিজয়ী হওয়া হারাম, এবং তারা চিন্তিত ও পেরেশান অবস্থায় মারা যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৫৮] [ আল মুজামুল কাবিরঃ ৪১৬৩ ]
সাহাবী হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, প্রত্যেক ফিতনা বড়ই কঠিন। এবং সেই ফিতনাই একদিন প্রকাশ পাবে শাম নামক দেশটিতে। আর যখন উক্ত শামদেশে ফিতনার উদ্ভব হবে তখনই চতুর্দিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৫৯ ]
কা'ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, প্রতিটি ফিৎনা প্রাথমিক অবস্থায় থাকবে, যতক্ষন পর্যন্ত সেটা শাম দেশে প্রকাশ হবেনা। যখনই শাম দেশে উক্ত ফিৎনা দেখা দিবে তখন বুঝতে হবে, সেটা চূড়ান্ত রুপ নিয়েছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৬০ ]
আবুল আলিয়া রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বললেন, হে লোক সকল! যতক্ষন পর্যন্ত শাম দেশের দিক থেকে কোনো ফিতনা আসবেনা, ততক্ষন তোমরা সেটাকে কোনো ফিৎনাই মনে করোনা। যখনই শামের দিক থেকে ফিতনা আসবে, সেটাই হবে অন্ধ ফিৎনা।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৬১]
কা'ব রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, পশ্চিম দিকের দ্বারা বুঝা যায় যে, সেটা হবে অন্ধকার ফিৎনা।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৬২ ]
সাফওয়ান ইবনে আব্দুল্লাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সিফিফন যুদ্ধের দিন জনৈক লোক শামবাসীদেরকে লা'নত করলে সাথে সাথে হযরত আলী রাযিঃ বললেন, থামো! শামবাসিদেরকে কক্ষনো লা'নত করোনা। তারা বিরাট এক বাহিনী, নিঃসন্দেহে আব্দাল তাদের থেকে প্রকাশ পাবে ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৬৩ ]
আলী ইবনে আবু তালহা, কা'ব রহ থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন, নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা এ পৃথিবীকে পাখির মত করে সৃষ্টি করেছেন এবং তার উভয় ডানা থেকে একটি রেখেছেন পূর্বদিকে, অন্যটি পশ্চিম দিকে। মাথাটি রেখেছেন শাম দেশে এবং মাথার সামনের অংশ যেটার সাথে পাখির ঠোট রয়েছে সেটা রাখা হলো হিমস শহর।
অতঃপর যখনই তার ঠোট দ্বারা মানুষকে আঘাত করবে এবং তার আঘাত দামেস্ক পর্যন্ত পৌঁছে যাবে। মূলতঃ সেখানেই থাকবে তার অন্তর। যখন তার অন্তর নাড়াচড়া দিয়ে উঠবে তখনই তার শরীরে শিহরন দেখা দিবে। তার মাথার জন্য ও দুটি অংশ থাকবে, একটি অংশ হবে দামেস্কের পূর্বাকাশে, অন্যটি হবে পশ্চিমাকাশে যা হিমসের দিকে থাকবে, সেটা হবে মূলতঃ ভারী অংশ। অতঃপর ধীরে ধীরে মাথার অংশটি উভয় ডানার পালক গুলো উপড়ে ফেলতে থাকবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৬৪ ]
সুলায়মন ইবনে হাতেব হিময়ারী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, নিঃসন্দেহে শাম দেশে নানান ধরনের ফিতনা প্রকাশ পাবে। যেখানে ফিৎনা এমন ভাবে আসবে যেন কূপের ভিতর পানি পতিত হচ্ছে, যা তোমাদের কাছে খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠবে। এবং তোমরা ক্ষুধার কারনে অত্যান্ত লজ্জিত হবে। সে সময় রুটির ঘ্রান মেশকের ঘ্রান থেকেও বেশি পছন্দনীয় হয়ে উঠবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৬৫]
আবু আব্দুর রব তাবী রহঃ থেকে বর্ননা করেন, তিনি এরশাদ করেন, যখন তুমি শামে আকাশচুম্বি ভবন নির্মান হতে দেখবে এবং সেখানে এমন ধরনের গাছ লাগানো হবে, যা হযরত নূহ আঃ এর যুগেও লাগানো হয়নি তাহলে বুঝতে হবে তোমাদের প্রতি ফিৎনা ধেয়ে আসছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৬৬ ]
কা'ব রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, পৃথিবীর মূল বা মাথা হচ্ছে, শাম দেশে, তার উভয় ডানা হচ্ছে, মিশর এবং ইরাকে এবং লেজ হচ্ছে, হেজাজ ভূমিতে। আর সেই লেজের উপর বাজ পাখিরা মলত্যাগ করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৬৭ ]
কা'ব রহঃ থেকে বর্নিত তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর্যন্ত মানুষ মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হতে থাকবে।যখনই এভাবে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হবে অর্থাৎ, শাম দেশ আক্রান্ত হবে তখনই মানুষ ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে উপনীত হতে থাকবে। হযরত কা'ব রহঃ কে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়া সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বললেন, মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার অর্থ হচ্ছে, শাম দেশ বিরান হয়ে যাওয়া।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৬৮ ]
কা'ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, শাম দেশের বিরান হওয়ার প্রায় চল্লিশ বৎসর পূর্বে পৃথিবীর অন্যান্য দেশ বিরান ও ধ্বংসে পরিনত হয়ে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৬৯ ]
আবুল মুহাজ্জাম রহঃ বলেন, আমি বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ কে বলতে শুনেছি: এ পৃথিবীটি হচ্ছে একটি পাখির ন্যায় এবং মিসর এবং বসরা হচ্ছে তার দুটি ডানা। যখনই উভয় দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে তখনই কিয়ামত সংঘটিত হবে। অর্থাৎ গোটা পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৭১ ]
আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনুল আস রাযিঃ হতে বর্নিত তিনি বলেন শাম দেশে এমন সব ফিতনা প্রকাশ পাবে যা দ্বারা পৃথিবী থেকে ভালো ও নেককার লোকের সংখ্যা হ্রাস পাবে এবং খারাপ ও বদকার লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৭২ ]
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়াব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, শাম দেশে ব্যাপক ফিতনা দেখা দিবে। যখনই উক্ত দেশের কোনো প্রান্তের ফিৎনা একটু শান্ত হবে, তখনই অন্য প্রান্তে উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। এভেবে চলতে থাকবে যা কখনো স্থিতিশীল হবেনা, এক পর্যায়ে একজন ঘোষক আসমান থেকে ঘোষনা করবে, হে লোকসকল! নিঃসন্দেহে অমুক হচ্ছে, তোমাদের আমীর।
নোট: এই হাদিসটির সত্যতা ইতিমধ্যেই আমরা দেখতে পাচ্ছি। বর্তমানে সিরিয়ার যুদ্ধবিগ্রহ আস্তে আস্তে বর্তমান পৃথিবির সকল সুপার পাওয়ারদের গ্রাস করে ফেলছে। খুব শীঘ্রই আমরা এসব সুপার পাওয়ারদের পতন দেখতে পাবো ইনশা আল্লাহ।
আর সিরিয়ার এই ফিতনা চলবে ১২ থেকে ১৮ বছর, ইতিমধ্যেই আমরা ৯ বছর অতিবাহিত করে ফেলেছি। তাই বর্তমান জালেম সুপার পাওয়ারদের পতন ও মুসলমানদের সুদিন খুব বেশি দূরে নয় ইনশা আল্লাহ। তবে তার আগে মুসলমানদের সন্তান প্রসব বেদনার মত অনেক দুর্যোগ অতিবাহিত করতে হবে।
[ আল ফিতান নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৭৩ ] [ মুজামুত তাবরানিঃ ৪৬৬৬]
সাহাবী হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ সাঃ কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা'আলা এক হাজার উম্মত সৃষ্টি করেছেন। তার মধ্যে ছয় শত জল ভাগে এবং চার শত হচ্ছে, স্থল ভাগে। এদের থেকে সর্বপ্রথম ফড়িং জাতীয় উম্মত বিলুপ্ত হবে। উক্ত ফড়িং বিলুপ্ত হওয়ার সাথে সাথে মুক্তা গাঁথা সূতা কেটে দিলে যেমন মুক্তাগুলো একেরপর এক ঝরে পড়তে থাকে, তেমনিভাবে এ উম্মতের উপরও ধ্বংস নেমে আসবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৭৪ ]
সুলাইমান ইবনে হাতেব হিময়ারী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, জনৈক লোক প্রায় চল্লিশ বৎসর হতে হযরত কা'ব থেকে শুনে আসছে যে, তিনি বলেন যখন ফিলিস্তিন দেশে ফিৎনা ব্যাপক আকার ধারন করবে, তখন কূপ বা কলসিতে পানি গড়িয়ে পড়ার ন্যায় শামের দিকে বিভিন্ন ধরনের ফিতনা ধেয়ে আসবে। অতঃপর তাদের সামনে সবকিছু উম্মোচন হয়ে যায়, অথচ তখন তোমরা খুবই লজ্জিত ও নগন্য জাতি হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৬৭৫]
সাহাবী হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, চতূর্থ ফিৎনা হচ্ছে, অন্ধকার অন্ধত্বপূর্ন ফিৎনা, যা সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় উত্তাল হয়ে আসবে, আরব অনারবের কোনো ঘর বাকি থাকবেনা, প্রত্যেক ঘরেই উক্ত ফিৎনা প্রবেশ করবে। যাদ্বারা তারা লাঞ্ছিত অপদস্ত হয়ে যাবে।
সে ফিৎনাটি শাম দেশে চক্কর দিতে থাকলেও রাত্রিযাপন করবে ইরাকে। তার হাত পা দ্বারা আরব ভূখন্ডের ভিতরে বিচরন করতে থাকবে। উক্ত ফিতনা এ উম্মতের সাথে চামড়ার সাথে চামড়া মিশ্রিত হওয়ার ন্যায় মিশ্রিত হয়ে যাবে। তখন বালা মুসিবত এত ব্যাপক ও মারাত্নক আকার ধারন করবে যাদ্বারা মানুষ ভালো খারাপ নির্নয় করতে সক্ষম হবেনা।
ঐ মুহুর্তে কেউ উক্ত ফিৎনা থামানোর ও সাহস রাখবেনা। একদিকে একটু শান্তির সুবাতাস বইলেও অন্যদিকে তীব্র আকার ধারন করবে। সকালে কেউ মুসলমান থাকলেও সন্ধা হতে হতে সে কাফের হয়ে যাবে। উক্ত ফিৎনা থেকে কেউ বাঁচতে পারবেনা, কিন্তু শুধু ঐ লোক বাঁচতে পারে, যে সমুদ্রে ডুবন্ত ব্যক্তির ন্যায় করুণ সুরে আকুতি জানাতে থাকে।
সেটা প্রায় বারো বৎসর পর্যন্ত স্থায়ী থাকবে। এক পর্যায়ে সকলের কাছে সবকিছু স্পষ্ট হয়ে উঠবে। ইতোমধ্যে ফুরাত নদীতে স্বর্নের একটি ব্রিজ প্রকাশ পাবে । যা দখল করার জন্য সকলে যুদ্ধে জড়িয়ে যাবে এবং প্রতি নয় জনের সাতজন মারা পড়বে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৭৬ ]
Comments 0