সুফিয়ানির নাম, বংশ এবং বৈশিষ্ট্য-কিতাবুল-ফিতান
সুফিয়ানির নাম, বংশ এবং বৈশিষ্ট্য-কিতাবুল-ফিতান
আবু উমাইয়া আল-কালবী রহঃ তার এমন এক শেখ থেকে বর্ননা করেন যিনি জাহেলী যুগকে পেয়েছিলেন, তিনি এরশাদ করেন, সুফিয়ানী মূলতঃ শামদেশের পশ্চিম দিকের আন্দারা নামক একটি গ্রাম থেকে সাতজন লোক সহকারে প্রকাশ পাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮০২ ]
নোট: সুফিয়ানিকে নিয়ে হাদিসে পরিচিতিমূলক অনেক কথা আছে। সুফিয়ানি মূলত হবে দু'জন; তবে আমরা যে সুফিয়ানিকে চিনি সে হবে দ্বিতীয় সুফিয়ানি। তার জন্ম কুরাইশ থেকেই হবে। বনু কালব গোত্রের। এই সুফিয়ানি আত্মপ্রকাশ করবে সিরিয়া থেকে, হঠাৎ করেই সে ক্ষমতায় আসবে। খুবই ক্ষমতাধর হবে।
আজকের যে আসাদ পরিবার এবং তার পূর্বে তার বাবা, তাদের বংশধারাও নাকি কুরাইশের বনু কালবের সঙ্গে, যার কারণে তাদেরকেও সুফিয়ানি হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। তাই আমরা পাঠককে বলব, সামনে সুফিয়ানি সম্পর্কে হাদিসেই বিস্তারিত বর্ণনা থাকছে, আপনারা তার আলোকে পথ চলে চিনতে চেষ্টা করুন আসলে সুফিয়ানি কে? বর্তমান শাসকগোষ্ঠী, নাকি পরবর্তী কেউ!
তবে আমরাও পাঠককে বলতে পারি, আজকের আসাদ এবং তার বাহিনীর অধিকাংশই বনু কালব গোত্রের। তাই সুফিয়ানির সঙ্গে অসংখ্য কালব থাকবে এবং ইয়াওমুল কালবের বিখ্যাত যুদ্ধ হবে, তা এই সিরিয়ান বাহিনীই হবে। হয়তো, তবে তার নেতৃত্বে কে থাকবে, তা-ই বোঝার বিষয়।
সে সুফিয়ানি বর্তমান শাসক না হলেও সামনে হয়তো সে আগমন করবে, তাই তাদের বংশধারা, গতিপ্রকৃতি, নাম পরিচয় ইত্যাদি নিয়ে চুলছেঁড়া বিশ্লেষণ করে না চললে কিন্তু আমরা তাদেরকে চিনতে পারব না। কারণ, তাদেরকে চেনার সঙ্গে ইমাম মাহদি এবং সে সময়ের সঙ্কট বোঝার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।
আবু জাফর রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানী নামক লোকটি জনৈকা মহিলার গর্ভের সন্তানের সতমূল্য পরিমান সময়ে রাজত্ব করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮০৩ ]
হযরত ইবনুল হানাফিয়্যাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, খোরাসান থেকে কালো ঝান্ডাবাহী দল এবং শুয়াঈব ইবনে সালেহ ও মাহদী আঃ এর আত্নপ্রকাশ আর মাহদী আঃ এর হাতে ক্ষমতা আসা বাহাত্তর মাসের মধ্যেই সংঘটিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮০৪ ]
হযরত আবু জাফর রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সে লোকটি হবে কোটরাগত চোখ বিশিষ্ট।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮০৬ ]
সুলাইমান ইবনে ঈসা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জানতে পেরেছি, নিঃসন্দেহে সুফিয়ানী সাড়ে তিন বৎসর পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকতে পারবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮০৭ ]
হযরত কা'ব রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, জনৈকা মহিলার একটি সন্তান ভুমিষ্ট হবে, তার নাম হবে আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াযীদ, তিনিই মূলতঃ আযহার কিংবা যুহরী ইবনুল কালবিয়া। সেই নাকি সুফিয়ানী হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮০৮ ]
হযরত আরতাত রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আজহার ইবনুল কালবিয়্যাহ কুফা নগরীতে প্রবেশ করলে তার শরীরে এক ধরনের ঘা দেখা দিবে। যার কারনে রাস্তাতেই মারা যাবে। অতঃপর আরেক লোক প্রকাশ পাবে তায়েফ-মক্কা কিংবা মক্কা-মদীনার মাঝামাঝি জায়গায় বেতবাক এবং সাজার গোত্রের হিজাজে অবস্থানকারী বৃদ্ধদের ন্যায়। যার চরিত্র হবে নিম্নমানের, উপরের দিকে চওড়া মাথা বিশিষ্ট, শীর্ন গোছার অধিকারী এবং তার চক্ষুদ্বয় হবে কোটরাগত । তার যুগে মূলতঃ বিভিন্ন ঝামেলা দেখা দিবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮০৯ ]
আরতাত রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানী হচ্ছে, প্রাথমিক অবস্থায় কালো এবং হলুদ ঝান্ডার অধিকারীদের মধ্যে যে যুদ্ধ হবে সেখানে সে মৃত্যু বরন করবে। পশ্চিম বাইছানের মুদিরুন নামক স্থানে লাল উটের উপর আরোহন করা অবস্থআয় আত্মপ্রকাশ করবে। তার মাথায় একটি মুকুট থাকবে। বড় বড় দলকে একাধিকবার পরাজিত করবে। অতঃপর নিজেও মারা যাবে। তিনি টেক্স গ্রহন করবে এবং সৈন্যদেরকে বন্দি করবে এবং গর্ভবর্তী নারীদের পেট চিড়ে বাচ্চা বের করে আনবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮১০]
হযরত কা'ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানীর ক্ষমতা থাকবে সাত/নয় মাস। বর্ননাকারী আবু বকর বলেন, জামরা এবং দীনার ইবনে দ্বীনার বলেছেন, তার রাজত্বের বয়স হবে মহিলার গর্ভের সময়ের সমপরিমান।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮১১]
হযরত আলী রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানী হবে, খালেদ ইবনে ইয়াযীদ ইবনে আবু সুফিয়ানের বংশধর। তিনি মাথার উপরিভাগে উচ্চতার অধিকারী হবেন, চেহারায় বসন্তের দাগ থাকবে এবং চোখে সাদা একটা দাগ হবে। দিমাশকের কাছে ওয়াদিউল ইয়াবিছ নামক এলাকা থেকে প্রকাশ পাবে। বের হওয়া কালীন তার সাথে সাতজন লোক থকবে, তাদের একজনের কাছে চিহ্নিত ঝান্ডা থাকবে। সেটা দেখে লোকজন চিনতে পারবে এবং দীর্ঘ ত্রিশ মাইল পাড়ি দিয়ে তার প্রতি আসতে থাকবে। যে লোকই উক্ত ঝান্ডার অধিকারীদের মোকাবেলা করবে সেই পরাজিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮১২]
হযরত আবু বকর থেকে বর্ননা করা হয়েছে, তিনি বলেন, সুফিয়ানী নামক লোকটি, ওয়াদিউল ইয়াবেছ থেকে বের হয়ে আসবে। তাকে দেখে দিমাশকের গভর্নর মোকাবেলা করতে এগিয়ে আসলে তার ঝান্ডা দেখেই পরাজিত হবে। বর্ননা কারীদের একজন আব্দুল কুদ্দুস বলেন, তৎকালীন যুগো দিমাশকের গভর্নর ছিলেন বনুল আব্বাছের দায়িত্ব শীলদের একজন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮১৩ ]
হযরত জামরা রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানী হচ্ছে, একজন ফর্সা রংয়ের অধিকারী, কোকড়ানো চুল বিশিষ্ট একজন লোক। এ জগতে কেউ তার সম্পদ গ্রহন করলে কিয়ামতের দিন সেটা গ্রহনকারীর পেটে আগুনে সেক দেয়ার মাধ্যম হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮১৪ ]
নোট: কারণ, তার অর্থ হবে অবৈধ। রাষ্ট্র এবং জনগণের বিভিন্ন সম্পদ কুক্ষিগত করে নেবে সে। আর এ কারণেই তার এ সম্পদ গ্রহণকারীদেরকেও সম অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত করা হবে।
হযরত হারেছ ইবনে আব্দল্লাহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, ইয়াবেছ জনপদে আবু সুফিয়ানির বংশধর থেকে এক লোক প্রকাশ পাবে। তার হাতে থাকবে লাল ঝান্ডা। তার উভয় পায়ের গোছা হবে শীর্ণ আকৃতির। চোখ হবে লম্বা প্রকৃতির, হলুদ বর্নের, যার মধ্যে ইবাদতের চিহ্ন থাকবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮১৫ ]
বিশিষ্ট সাহাবী আবু উবাইদা ইবনুল জাররাহ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, উক্ত দ্বীন সর্বদা ইনসাফের উপর অটল ও স্থীর থাকবে। এক পর্যায়ে উমইয়া বংশের একজন লোক তার উপরে কঠিনভাবে আঘাত করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮১৭ ]
হযরত মুহাম্মদ ইবনে আলী রহঃ বলেন আমার কাছে পৌঁছেছে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন, আবু সুফিয়ানের বংশের এক লোক ইসলামের উপর এমন ভাবে আঘাত করবে, যার ক্ষতি পূরন করা কখনো আর সম্ভব হবেনা।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮১৮ ]
হযরত আমরা ইবনে কায়স রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাহাবী হযরত খালেদ ইবনে ওলীদ রাঃ শাম দেশে খুতবা দেয়া কালীন জনৈক লোক দাড়িয়ে বললেন, নিঃসন্দেহে ফেনা প্রকাশিত হয়েছে। উত্তরে খালেদ ইবনে ওলীদ রাযি বললেন, অসম্ভব এটা কোনো দিনই হতে পারেনা, যেহেতু হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিঃ জীবিত আছেন। ফিতনা তার সমূলে প্রকাশ পাওয়া তখনই সম্ভব যখন লোকজন আমার মত লোকের পিছনে ছুটবে এবং জনৈক লোক এমন থাকবে গোটা পৃথিবীতে তার এমন আলোচনা ছড়িয়ে পড়বে যার সাথে তার কোনো সম্পর্কই থাকবেনা । লোকজন তার দিকে ধাবিত হবে, কিন্তু তাকে আর পাওয়া যাবেনা। আর তখনই ফিৎনা প্রকাশ হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮১৯]
তিনি বলেন, বনু হাশেমের একজন লোক রাজত্বের মালিক হওয়ার সাথে সাথে বনু উমাইয়ার এক লোককে হত্যা করবে। এভাবে চলতে চলতে সামান্য সংখ্যক লোক বাকি থাকবে। যাদেরকে হত্যা করা হবেনা। ঠিক তখনই বনু উমাইয়ার এক লোকের আবির্ভাব ঘটবে এবং সে প্রতি জনের বিপরীত দুইজন করে হত্যা করবে। ফলে নারী ব্যতীত কোনো পুরুষই আর বাকি থাকবেনা। অতঃপর মাহদী আঃ এর আগমন হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮২১]
খালেদ ইবনে মা'দান থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানীর আবির্ভাব ঘটলে তার হাতে তিনটি বাশের কঞ্চি থাকবে। এগুলো দ্বারা কাউকে আঘাত করার সাথে সাথে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮২২ ]
নোটঃ এর দ্বারা হয়ত রুপক অর্থ উদ্দেশ্য যার অর্থ দাড়ায়, তার হাতে এমন কোন অস্ত্র থাকবে যা দিয়ে আঘাত করার সাথে সাথেই কেও মৃত্যূ বরণ করবে।
আবু বকর ইবনে আবু মারিয়ম রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি তার কতিপয় শেখ থেকে বর্ননা করেন, তিনি বলেন, সুফিয়ানীকে স্বপ্নে দেখানো হবে যে, অমুক স্থানের দিকে তুমি বের হও। ঘুম থেকে জাগ্রত হয়ে সে কাউকে দেখতে পাবে। দ্বিতীয় দিনও এভাবে দেখানো হবে, তৃতীয়বার তাকে বলা হবে, দাড়াও এবং বের হয়ে দেখ তোমার দরজায় কে দাড়িয়ে, তৃতীয় বার স্বপ্নে দেখার পর সে দৌড়দিয়ে ঘরের দরজায় গিয়ে দেখতে পাবে সাত/নয়জন লোক একটি পতাকা নিয়ে অপক্ষা করছে। তারা তাকে দেখে বলবে, আমরা আপনার সাথী হতে চাই। অতঃপর তিনি তাদেরকে নিয়ে বের হয়ে গেলেন, অন্যদিকে ওয়াদিউল ইয়াবিছ নামক গ্রামের অনেক লোক তার অনুস্বরণ করতে লাগল। এক পর্যায়ে দিমাশকের রাজা তার মোকাবেলার জন্য বের হয়ে আসবে এবং তাদের মধ্যে ভয়ানক যুদ্ধ সংগঠিত হয়। যখন তিনি তার ঝন্ডার দিকে দৃষ্টি দেয়ার সাথে সাথে
পরাজিত হয়ে যায়। সেদিন দিমাশকের রাজা হবেন বনুল আব্বাছের জিম্মাদার।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮২৩ ]
আবু কাবীল রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, সুফিয়ানী হচ্ছে নিকৃষ্ঠতম বাদশাহদের অন্যতম। যে অনেক ওলামায়ে কেরাম এবং বুদ্ধি জীবিদের হত্যা করবে। অথচ তাদের মাধ্যমে সে সাহায্য প্রার্থনা করতো। যে লোকই তার বিরোধীতা করতো তাকেই হত্যা করতো।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮২৫ ]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযি থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কিছু দিনের মধ্যে জনৈক লোক তার নিতম্ব হেলিয়ে নাচতে থাকবে। যে লোক কানা চোখের অধিকারী। তার যুগে যুদ্ধ, হত্যা বন্দি ইত্যাদি ব্যাপক আকার ধারন করবে। তিনি হচ্ছে, সেই লোক যে মদীনাতে আক্রমন করার জন্য সৈন্য প্রেরণ করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮২৬ ]
মুহাম্মদ ইবনে জাফর রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাযিঃ এরশাদ করেন, খালেদ ইবনে ইয়াযীদ ইবনে মোয়াবিয়া ইবনে আবু সুফিয়ানের সন্তানদের থেকে একজন লোক তার সাতজন সাথী সহ প্রকাশ পাবে। তাদের একজনের হাতে থাকবে চিহ্নিত একটি ঝান্ডা, যেটা দেখে সকলে বুঝতে পারবে যে, সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। তার সাথে লোকজন প্রায় ত্রিশ মাইল পর্যন্ত ভ্রমন করবে। যারাই উক্ত ঝান্ডা দেখবে তারাই পরাজয় বরন করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮২৭ ]
হযরত আবু ইসহাক রাঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, হিশামের যুগে তোমরা সুফিয়ানীকে দেখতে পাবেনা। এক পর্যায়ে পশ্চিমারা তোমাদের প্রতি ধেয়ে আসবে। যখনই তুমি সেটা দেখবে তখন দিমাশকের মিম্বরে গিয়ে ঠাই দাড়িয়ে থাক। ঐ মুহূর্তে পশ্চিমারা হামলা করা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮২৮ ]
হযরত ইয়যূদ ইবনে আবযু হবীব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, সুফিয়ানীর আগমন হবে, সাইত্রিশ হিজরীর মধ্যে। তার রাজত্বের স্থায়ীত্ব হবে আঠারো মাস। আর যদি তার আগমন উনচল্লিশ হিজরীতে হয় তাহলে তার রাজত্বের স্থায়ীত্ব হবে মাত্র নয় মাস।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৩০ ]
নোটঃ এ সুফিয়ানি দ্বারা হয়ত প্রথম সুফিয়ানি উদ্দেশ্য। এর পরেও আরেক সুফিয়ানির আগমন হবে। আর তার আগমনের পরেই ইমাম মাহাদির আগমন হবে।
হযরত আরতাত রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, দ্বিতীয় সুফিয়ানীর যুগে যুদ্ধ-বিগ্রহ এত ব্যাপক আকার ধারন করবে, যাদ্বারা প্রত্যেক জাতি মনে করবে তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৩২ ]
Comments 0