রাসুল (সাঃ) এর ইন্তিকাল হতে কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিতব্য ফিতনা ও তার সংখা
রাসুল (সাঃ) এর ইন্তিকাল হতে কিয়ামত পর্যন্ত সংঘটিতব্য ফিতনা ও তার সংখা
হযরত আওফ ইবনে মালেক আশজারী (রাঃ) থেকে বণিত ৷ তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) আমাকে বললেন, হে আওফা কিয়ামতের পূবের ছয়টি নিদেশনকে তুমি গণনা করে রাখ ৷
(১) আমার ওফাত । (হযরত আওফ বলেন) একথা আমাকে কাদিয়ে দিল । তখন রাসূল (সাঃ) আমাকে চুপ করিয়ে দিলেন । অতঃপর রাসূল (সাঃ) বললেন বলো এক।
(২) বায়তুল মুকাদ্দস বিজয়, (রাসূল (সাঃ) বললেন বলো দুই ৷
(৩) ব্যাপক মহামারী যা আমার উম্মতের মধ্যে বকরির মড়কের ন্যায় দেখা দিবে। (রাসূল (সাঃ) বললেন) বলো তিন ।
(৪) আমার উম্মতের মধ্যে ফিতনা সংঘটিত হবে এবং বিরাট আকার ধারন করবে । (রাসূল সাঃ বললেন) বলো চার ।
(৫) তোমাদের মধ্যে ধন সম্পদের এত প্রাচুর্য হবে যে, কোন ব্যক্তিকে একশত দিনার 'স্বেণমুদ্রা) প্রদান করলেও সে (এটাকে নগন্য মনে করে) অসন্তষ্টি প্রকাশ করবে । (রাসূল সাঃ বললেন) বলো পাঁচ ।
(৬) বনুল আসফার (রোমদের) দের সাথে তোমাদের একটি সঙন্বিচুক্তি হবে । অতঃপর তারা তোমাদের নিকট গিয়ে তোমাদেরকে হত্যা করবে এবং মুসলমানরা তখন এমন ভূমিতে থাকবে যাকে মদীনার নিম্নাঞ্চল বলা হয় এবং তাকে দামেস্ক ও বলা হয় (যা সিরিয়ার রাজধানী) (দামেশকের আল-গুলা শহর)।
[ আল ফিতান: - ৭২ ] [ কানযুল উম্মাল - ৩৯৫৯৬]
হযরত হুয়ান ইবনে আমর রাযিঃ হতে বণিত, তিনি বলেন, তৃয়ানার যুদ্ধে আমরা রোম ভূখন্ডে প্রবেশ করে একটি উচু টিলাতে অবস্থান করি। এক পর্যায়ে আমি আমার সাথীদের বাহন থেকে একটি বাহনের মাথা উচু করে ধরি। আর আমার সাথীরা তাদের বাহনের জন্য দানা-পানির ব্যবস্থা করতে যায়। এমন অবস্থায় হঠাৎ শুনলাম কেউ যেন বলছে “আসসালামু আলাইকা ওয়ারাহমাতুল্লাহ” সালামের আওয়াজ শুনে দেখলাম সাদা কাপড় পরিহিত এক লোক ৷ আমি সালামের জবাব দিলে তিনি বললেন, তুমি কি আহমদের উম্মতের অন্তর্ভুক্ত? আমি হ্যাঁ সূচক উত্তর দিলে তিনি বললেন, তোমাদে ধৈর্য্যধারন করতে হবে । কেননা এ উম্মত মুলতঃ উম্মতে মারহুমা হতে গণ্য । আল্লাহ তাআলা তাদের উপর পাঁচ ধরনের ফিৎনা রেখেছেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ করেছেন।
অতঃপর আমি বললাম, সেগুলোর নাম উল্লেখ করুন । তিনি বললেন, পাঁচটির একটি হচ্ছে, তাদের নবীর মৃত্যুবরণ করা, যাকে কিতাবুল্লাহর ভাষায় বাগ্তাহ্ বা হঠাৎ বলা হয়েছে। অতঃপর হযরত ওসমান রাঃ এর শাহাদাত বরণ করা । যেটা কিতাবুল্লাহ “যক্ষ্মা” বা বধির ফিৎনা হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এরপর হচ্ছে, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবাইর রাযিঃ এর ফিৎনা যা কিতাবুল্লাহর ভাষায় আল উমাইয়া বা অন্ধ ফিৎনা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তারপর হলো, ইবনুল আসআছ এর ফিৎনা । যাকে কিতাবুল্লাহতে আল বুতাইরা বা বেজোড় ফিৎনা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। অতঃপর এ বলে চলে যেতে লাগল, “ছালাম (তলোয়ারের ফিতনা) বাকি রইল ৷ এরপর সে কীভাবে চলে গেল আমি বুঝতে পারলামনা ।
[ আল ফিতান: - ৭৬ ]
হযরত আলী রাযিঃ থেকে বণিত, তিনি বলেন, এ উম্মতের জন্য পাঁচ প্রকার ফিৎনা নির্ধরন করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি হচ্ছে, সবর্দা অন্ধ, বধির হিসেবে থাকার ফিৎনা। (এই অন্ধত্ব এবং বধিরতা হচ্ছে সত্য হতে বিমুখ হওয়া)
[ আল ফিতান: - ৭৮ ]
হযরত হুযায়ফা (রাঃ) থেকে বণিত। তিনি বলেন, ফিতনা সংঘটিত হবে, অতঃপর জামাত ও তাওবা হবে৷ অতঃপর জামাত ও তাওবা হবে । (এর পর চতুর্থবার উল্লেখ করলেন) অতঃপর তাওবাও হবেনা এবং জামাতও হবেনা ।
[ আল ফিতান: - ৭৯ ]
ইমরান ইবনুল হুসাইন রাঃ থেকে বর্ণিত, রাসুল সাঃ বলেছেন, চার প্রকারের ফিতনা সংঘঠিত হবে। ১. খুন করাকে বৈধ মনে করা হবে। ২. অন্যের সম্পদকে বৈধ মনে করা হবে। ৩. ব্যাভিচারকে বৈধ মনে করা হবে।
[ আল ফিতান: - ৮৬ ]
আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল সাঃ বলেছেন, আমি তোমাদের আমার পরে প্রকাশিত হবে এমন সাত প্রকারের ফিতনা থেকে ভয় প্রদর্শন করছি। তার মধ্যে একটি প্রকাশিত হবে মদিনা থেকে, আরেকটি প্রকাশ পাবে মক্কায় । অন্যটি প্রকাশ পাবে ইয়ামান থেকে, আরেকটি শাম থেকে, আরেকটি মাশরিক থেকে, আরেকটি মাগরিব থেকে ৷ অন্যটি প্রকাশ পাবে শামের মূল ভূখণ্ড থেকে এবং সেটিই হচ্ছে, 'সুফিয়ানী ফিতনা'।
এরপর আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাঃ বললেন, তোমাদের মাঝে এমন অনেকে রয়েছে, যারা প্রথম ফিতনাগুলো অবলোকন করবে এবং এ উম্মতের অন্যরা সর্বশেষ ফিতনাগুলো অবলোকন করবে। ওয়ালিদ ইবনু আইয়াশ রাঃ বলেন, মদিনার ফিতনা হচ্ছে তালহা এবং যুবায়ের-এর পক্ষ থেকে। মক্কার ফিতনা হলো আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়েরের ফিতনা৷ ইয়ামানের ফিতনা হচ্ছে নাজদের পক্ষ থেকে। শামের ফিতনা সংঘঠিত হবে বনু উমাইয়ার পক্ষ থেকে আর মাশরিকের ফিতনা হচ্ছে --- এদের পক্ষ থেকে।
[ আল ফিতান: - ৮৭ ]
আবু হুরায়রা রাঃ হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল সাঃ বলেছেন, আমার পরে তোমাদের মাঝে চার ধরনের ফিতনা প্রকাশ পাবে ।
১. এমন ফিতনা যার মাদ্ধমে লোকজন মানুষ হত্যা করাকে বৈধ মনে করবে ।
২. মানুষ হত্যা এবং অন্যের সম্পদকে হালাল মনে করা হবে ।
৩. এমন ফিতনা যার মাদ্ধমে মানুষ হত্যা করা, অন্যের সম্পদ দখল করা এবং যিনা-ব্যভিচারকে বৈধ মনে করা হবে।
৪. অন্ধ-বধিরের ফিতনা যা ব্যাপক আকার ধারণ করবে ।
সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো তীব্রভাবে আসতে থাকবে। কেউ তার থেকে মুক্তির কোনো উপায় খুঁজে পাবে না। যে ফিতনা শাম দেশকে অবরুদ্ধ করে রাখবে এবং ইরাককেও গ্রাস করবে। উক্ত ফিতনার হাত-পা দ্বারা জাযিরাতুল আরবকে আঘাত করতে থাকবে তখন বিভিন্ন ধরনের বালা মুসিবত মানুষের শরিরের সাথে এমন ভাবে মিশে যাবে যেন চামরা শরিরের সাথে মিশে থাকে। উক্ত ফিতনা প্রতিরোধ করার মত ক্ষমতা কারোর থাকবেনা। অতঃপর উক্ত ফিতনা সম্পর্কে পরিপূর্ন অবগত হওয়ার পুর্বেই তা ঝরের গতিতে চুর্ন বিচুর্ন করে অন্যদিকে বের হয়ে যাবে।
[ আল ফিতান: - ৮৯]
নোটঃ আজকের পৃথিবির একটি ফিতনার কথাই ধরুন, বিনোদন অনুষ্ঠান, টিভি সিনেমা, নাটোক ইত্যাদি। এসব আজ আমাদের কাছে কতটুকু ফিতনার মনে হয়? কেও হয়ত এসবকে আর ফেতনা মনেই করেননা বা মনে করতেও প্রস্তুত না।
উমাইর ইবনু হানি থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল বলেছেন, ‘ফিতনায়ে আহলাস' হলো—তাতে পলায়ন হবে। (অর্থাৎ, পরস্পরের মধ্যে এমন শত্রুতা দেখা দিবে যে, একজন অপরজন হতে পলায়ন করতে থাকবে) এবং ছিনতাই হবে। ‘ফিতনাতুস সাবরা' (অর্থাৎ ধন-সম্পদের প্রাচুর্যের কারণে বিলাসিতায় লিপ্ত হয়ে পড়ার ফিতনা), উক্ত ফিতনার ধোঁয়া কোনো এক ব্যক্তির পায়ের নিচ হতে নির্গত হবে (অর্থাৎ সেই ব্যক্তিই উক্ত ফিতনার নায়ক হবে)।
সে আমার খানদানের লোক বলে দাবি করবে, অথচ সে আমার আপনজনদের মধ্যে হবে না। প্রকৃতপক্ষে পরহেজগার লোকই হলেন আমার বন্ধু। অতঃপর লোকেরা এক ব্যক্তির উপর ক্ষমতা অর্পণে একমত হবে। তারপর আরম্ভ হবে অন্ধকারাচ্ছন্ন ফিতনা। যখন বলা হবে ফিতনা শেষ হয়ে গেছে, তখন তা এতো প্রসারিত হবে যে, আরবের এমন কোন ঘর অবশিষ্ট থাকবে না, যেখানে তা প্রবেশ করবে না, অর্থাৎ প্রতিটি ঘরে তা প্রবেশ করবেই। আর মানুষ তখন এমনভাবে লড়াই করতে থাকবে যে, লড়াইকারী জানবে না, সে কি সত্যের বিরুদ্ধে লড়াই করছে? নাকি বাতিলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে? এভাবে সবসময় তা চলতে থাকবে। অবশেষে সকল মানুষ দু'টি তাঁবুতে (দলে) বিভক্ত হয়ে যাবে। একটি দল হবে ঈমানের, যাতে কোনো নিফাক থাকবে না। আর অপর দলটি হবে নিফাকের, যার মধ্যে কোনো ঈমান থাকবে না। যখন উভয়টি একত্রিত হবে, তখন তুমি দাজ্জালের আগমন প্রত্যক্ষ করো, সে ঐ দিনই অথবা পরের দিন আবির্ভূত হবে। অর্থাৎ, নিকটতম সময়ে তার আবির্ভাব ঘটবে।
[ আল ফিতান: - ৯৩]
কা'ব রাঃ থেকে বর্ণিত—তিনি বলেন, তিন ধরনের ফিতনা প্রকাশ পাবে, যেমন অনেক ক্ষেত্রে পথচারীকে আটকানো হয় । কিছু ফিতনা প্রকাশিত হবে শাম দেশে, অতঃপর পূর্বদিকে এত মারাত্মক ফিতনা দেখা দিবে, যা দ্বারা বড় বড় রাজা বাদশাহগণ সরষে ফুল দেখতে পাবে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে প্রকাশ পাবে পশ্চিমা ফিতনা। অতঃপর হলুদ রংয়ের পতাকা বিশিষ্ট কিছু লোকের আবির্ভাব ঘটবে। বর্ণনাকারীর বক্তব্য হচ্ছে—পশ্চিমা ফিতনা হচ্ছে মূলতঃ অন্ধ ফিতনা।
[ আল ফিতান: - ৯৭]
আওফ ইবনু মালেক আশজাঈ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমাকে রাসুল এ বলেছেন, হে আওফ! কিয়ামতের পূর্বে ছয়টি ফিতনা প্রকাশ পাবে। তার মধ্যে প্রথম ফিতনা হচ্ছে, তোমাদের নবির ওফাত, রাসুল -এর কথা শুনে আমি কেঁদে উঠলাম। অতঃপর তিনি বললেন, দ্বিতীয় ফিতনা হচ্ছে বায়তুল মোকাদ্দাসের বিজয়। তৃতীয় ফিতনাটি এত ব্যাপক হবে, যা শহর এবং গ্রামের প্রতিটি ঘরকেই গ্রাস করে নিবে। চতুর্থ ফিতনা হচ্ছে, মানুষের মধ্যে গণহারে মৃত্যু দেখা দিবে, যেন সকলে ছাগলের মাড়কের ন্যায় মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে পড়েছে। পঞ্চম ফিতনা হচ্ছে, লোকজন প্রচুর সম্পদের মালিক হবে। এমনকি কাউকে একশত দিনার দান করা হলেও তা কম মনে করে রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়বে। আর ষষ্ঠ ফিতনা হলো, তোমাদের এবং রোমবাসীদের মাঝে একটা চুক্তি হবে। অতঃপর তারা আশি দলে বিভক্ত হয়ে তোমাদের দিকে ধেয়ে আসবে। যার প্রতিটি দলে বার হাজার সৈন্য থাকবে।
[ আল ফিতান: - ১০৪]
নোট : প্রথম তিনটি ফিতনা সম্পর্কে আমরা আগেও কিছু জেনেছি। দ্বিতীয়তে যে বাইতুল মুকাদ্দাস বিজয়কে ফিতনা বলা হয়েছে, হতে পারে তা থেকে পরবর্তী যেসব ফিতনা সমাজের মধ্যে খ্রিস্টান সম্প্রদায় বা তাদের সহযোগী ও দোসররা ছড়িয়ে দিয়েছে, যেমন নারির ফিতনা, মদের ফিতনা, ক্ষমতার ফিতনা ইত্যাদি। চতুর্থ ফিতনাটি বুঝতে হলে এইড্স, ইবোলা ভাইরাসে হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ সব চিকিৎসা গবেষকদেরই ছড়ানো।
কয়দিন আগেই বিলগেটস ঘোষনা করেছে, অচিরেই এমন রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটবে, যে রোগে পৃথিবির তিন কোটি মানুষ মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে (এটা করনা ভাইরাস এর আগের ঘটনা)। এসব এরা জানে। আর এসব রোগ তাদের গবেষণাগারে বসে আবিস্কার করা হয়। অন্য হাদিসেও আছে, ব্যাপকভাবে রোগবালাই দেখা দেবে, মানুষ তাকে মহামারি ভাববে, মূলত তা মহামারি নয়। প্রচুর সম্পদের মালিক হওয়ার বিষয়টি এখন স্পষ্ট। পুঁজিবাদের মতাদর্শে বলিয়ান বিশ্বসমাজের মুসলিম অমুসলিম সবারই একটি স্লোগান, খাও দাও ফূর্তি কর, জীবনটা মস্ত বড়। যেভাবে পার অধিক সম্পদের অধিকারী হও! শেষের ফিতনাটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ঘটবে বলে বিশেষজ্ঞ আলেমগণের মতামত রয়েছে
বিশিষ্ট তাবেঈ তাউস বলেন—জনৈক লোক আবু মুসা আশআরি - র কাছে জানতে চাইলো যে, এসব কি ঐ ফিতনা যা আপনি আমাদের সামনে বর্ণনা করতেন? এই ঘটনাটি মূলতঃ তখনই, যখন আবু মুসা আশআরি এবং আমর ইবনুল আস -র মাঝে কোনো এক সিদ্ধান্তের ব্যাপারে মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল। জবাবে আবু মুসা আশআরি বললেন, এগুলো হচ্ছে ফিতনার মারাত্মক মারাত্মক অংশসমূহ হতে একটি। অতঃপর বাকি রইল বড় বড় অন্ধকারাচ্ছন্ন ফিতনা, যা গোটা জাতিকে গ্রাস করবে। যারা উক্ত ফিতনার প্রতি মনোনিবেশ করবে তাদেরকে অত্যন্ত নির্মমভাবে আকৃষ্ট করে নিবে।
উক্ত ফিতনাকালীন যারা বসে থাকবে তারা দণ্ডায়মান থাকা লোকজন থেকে উত্তম, আর একস্থানে দাঁড়িয়ে থাকা লোক চলাচলকারী থেকে ভালো। স্বাভাবিক গতি সম্পন্ন লোক দ্রুতগামী থেকে অনেক উত্তম। ফিতনা সম্বন্ধে মন্তব্যকারী থেকে নীরবতা অবলম্বনকারী উত্তম। আর উক্ত ফিতনার সময় ঘুমন্ত ব্যক্তি অনেক ভালো জাগ্ৰত লোক থেকে।
[ আল ফিতান: - ১০৬]
Comments 0