ফিতনার সময় এবং তা চলে যাওয়ার পর সাহাবাগণের অনুসূচনা
ফিতনার সময় এবং তা চলে যাওয়ার পর সাহাবাগণের অনুসূচনা
হযরত আবু সালেহ থেকে বর্ণিত, যখন হযরত আলী রাযি কিছু বাহাদুর পুরুষের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করলেন, তখন বললেন, এ ধরনের ঘটনা সংঘটিত হওয়ার বিশ বৎসর পূর্বে মৃত্যুবরণ করাটাই আমার নিকট অতি পছন্দনীয় ছিল।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৭০ ]
হযরত হাসান থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, হযরত আলী রা. ধারণা করেন, তিনি যে আমল করেছেন কোন আমলই করেননি। এবং আম্মার রা. ধারণা করেন তিনি যে আমল করেছেন কেমন যেন কোন আমলই করেননি। অনুরূপ ত্বলহা রা.ও ভয় করেন তিনি যে আমল করেছেন কেমন যেন কোন আমলই করেননি। এবং যুবায়ের রা. ও তদ্রূপ ধারণা করেন তিনি যে আমল করেছেন কেমন যেন কোন আমলই করেননি। তারা সকলে এমন এক জাতির নিকট আবতরণ করলেন যাদের গ্রন্থসমূহ সুসজ্জিত, আখেরাতবাসী। তখন তারা এদের মাঝে যুদ্ধ বাধিয়ে দিলেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৭১]
হযরত ঈসা ইবনে উমর থেকে বর্ণিত তিনি বলেন আমি এক বৃদ্ধ ব্যক্তি কে আমর ইবনে মুরার নিকট হাদীস বর্ণনা করতে শুনেছি, তিনি বলেন আব্দুল্লাহ আমর বলেন আমি তাঁকে ব্যতিত আর কারো নিকট এই বিষয়ে বার বার বলতে দেখিনি, আমি এই আয়াত পড়তেছিলাম “ নিশ্চয় আপনি মৃত্যবরণ করবেন এবং তারা ও মৃত্যবরণ করবে অতপর কিয়ামত দিবসে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের নিকট ঝগড়া করবে। (যুমার: ৩১) আর আমার ধারণা ছিল, এটা আহলে কিতাবদের সম্পর্কে, এক পর্যায়ে আমাদের কতিপয় লোক কতিপয় লোকদের চেহারায় তরবারী দ্বারা আঘাত আনল তখন আমাদের বুঝতে আর বাকি রইল না যে এটা আমাদের মধ্যে হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৭২ ]
মুহাম্মাদ বিন উবাইদুল্লাহ বর্ণনা করেন, আমি আবুদ্দুহাকে হাসান ইবনে আলী রা. থেকে আলোচনা করতে শুনেছি, তিনি সুলাইমান ইবনে সুরাদকে বলেন আমি আলী রা. কে দেখেছি যখন যুদ্ধ তীব্রবেগে লেগে গেল তখন তিনি আমার নিকট আশ্রয় নিয়ে বললেন, হে হাসান! হায় আফসোস যদি এর বিশ বৎসর পূর্বে আমি ইন্তেকাল করতাম।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৭৭ ]
আমের শা’বি উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণনা করেন—হযরত আয়েশা স্বপ্নে দেখলেন কেমন জানি আমি একটি ছোট টিলার উপর আছি। এবং তার পাশে ছাগল ও বড় বড় গরুর পাল রয়েছে। তখন এক লোক তার ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। অতঃপর আয়েশা আবু বকর এর নিকট এ ঘটনা বর্ণনা করলেন। তখন আবু বকর বলেন, যদি তোমার সপ্ন সত্য হয়ে থাকে, তাহলে তোমার আশপাশে একদল মানুষকে হত্যা করা হবে!
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৮২]
আবু সাঈদ খুদারি রাঃ থেকে বর্ণিত তাঁকে আলি রাঃ, তালহা রাঃ এবং যুবায়ের রাঃ এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল । তখন তিনি উত্তর দিলেন, তারা এমন এক জাতি—যাদের জন্য এক অতীত ইতিহাস রচিত হয়েছে এবং তাদেরকে এক ফিতনা গ্রাস করেছে। সুতরাং তাদের বিষয়টি আল্লাহ-র নিকট অর্পণ করো।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৮৪ , মুসান্নাফে ইবনু আবি শায়বা : ৩৭১০৯]
ইয়াযিদ ইবনু আবু হাবিব রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুল সাঃ বলেন, আমার সাহাবিদের থেকে সংঘটিত হবে অর্থাৎ তাদের মধ্যেই ফিতনা সংঘটিত হবে। আল্লাহ তাদের অগ্রগামীতার কারণে ক্ষমা করে দিবেন। যদি কোন জাতি এ ব্যাপারে পরবর্তীতে তাদের অনুসরণ করে, তাহলে আল্লাহ তাদেরকে জাহান্নামে ধরাশয়ী করবেন
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৮৫]
কায়েস ইবনু সাআদ খারেফি রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আলি রাঃ এ-কে এই মিম্বারের উপর বলতে শুনেছি, রাসুল সাঃ অগ্রগামী হয়েছেন, আর আবু বকর রাঃ সালাত পড়েছেন, আর উমর রাঃ এ তৃতীয় পর্যায়ে এসেছেন। অতঃপর আমাদেরকে এমন এক ফিতনা পদদলিত করেছে, যা আল্লাহ র ইচ্ছায় ছিল ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৮৬]
মুহাম্মাদ ইবনু হাতিব রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আলি রাঃ -কে বলা হলো, নিশ্চয়ই তারা আমাদের নিকট উসমান রাঃ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, তখন আমরা কী উত্তর দিব? তখন তিনি বলেন, তোমরা বল, তিনি তো ঐ সমস্ত লোকদের অন্তর্ভুক্ত, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ বলেন – “যারা ঈমান রাখে ও সৎকর্মে রত থাকে এবং (আগামিতে যেসব জিনিস নিষেধ করা হয় তা থেকে) বেঁচে থাকে ও ঈমানে প্রতিষ্ঠিত থাকে আর তারপরও তাকওয়া ও ইহসান অবলম্বন করে । আল্লাহ ইহসান অবলম্বনকারীদেরকে ভালবাসেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ১৮৭]
আয়েশা রাঃ রাসুল সাঃ থেকে বর্ণনা করেন—আওয়াম ইবরাহিম তাইমি রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি রাসুল সাঃ থেকে বর্ণনা করেন—রাসুল সাঃ বলেন, তিনি তার স্ত্রীদেরকে বলেন, তোমাদের মধ্যে থেকে কাউকে দেখে হাওআবের কুকুর (অধিক পানি বিশিষ্ট প্রশস্তময় জায়গার কুকুর) ঘেউ ঘেউ করবে। যখন আয়েশা রাঃ অতিক্রম করল তখন কুকুর ঘেউ ঘেউ করলো। তখন আয়েশা রাঃ এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, তখন তাকে বলা হল, এটা হাওআবের পানি। তখন আয়েশা রাঃ বলেন, আমার প্রবল ধারণা, আমি প্রত্যাবর্তন করবো। তখন তাকে বলা হলো হে উম্মুল মুমিনীন! নিশ্চয় আপনি মানুষের মাঝে সংশোধন করবেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.১৮৮]
আবু তুফাইল রাঃ থেকে বর্ণিত—তিনি বলেন, আমি হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাঃ -কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেন, আমি যদি তোমাদেরকে বলি যে, তোমাদের মাতা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করবে। তাহলে তোমরা আমাকে সত্যায়ন করবে? তখন লোকেরা বলল, এটাও কি ঘটবে? তিনি বলেন, এটা সত্য।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.১৯২]
মুহাম্মাদ ইবনু সিরিন রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আলি রাঃ বলেন, আমি আশাবাদী যে, আমি এবং উসমান রাঃ ঐ লোকদের অন্তর্ভুক্ত, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ ঘোষণা করেছেন—“আমি তাদের অন্তর থেকে হিংসা- বিদ্বেষ বের করে দিয়েছি। ফলে তারা ভাই ভাই হয়ে উঁচু আসনে মুখামুখি হয়ে বসবে। [হিজর: ৪৭]
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.১৯৪]
মুররা ইবনু কা'ব রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি রাসুল সাঃ কে এক ফিতনার কথা আলোচনা করতে শুনেছি, রাসুল সাঃ ফিতনার বিষয় বিষদভাবে আলোচনার মাধ্যমে আমাদের নিকটবর্তী করে ফেললেন। এমন সময় উসমান রাঃ অতিক্রম করলেন। তখন রাসুল সাঃ বললেন, এই ব্যক্তি সেদিন হকের উপর থাকবে। বর্ণনাকারী বলেন, তখন আমি উসমান রাঃ -এর নিকট দাঁড়িয়ে গেলাম এবং তার দুই বাহু ধরে রাসুল সাঃ-এর নিকট নিয়ে গেলাম। আর তার মাথা খুলে দিলাম, কেননা তিনি কাপড় দ্বারা মাথা ঢেকে রেখেছিলেন। তখন আমি বললাম –হে আল্লাহর রাসুল! ইনি? রাসুল সাঃ বললেন, ইনিই । তখন দেখা গেল তিনি উসমান ইবনু আফ্ফান রাঃ। খালেদ বলেন—কাব ইবনু মুররা এবং আবুল আশআছ সানআনির কথা উল্লেখ করেননি।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.১৯৫]
আসওয়াদ ইবনু কায়েস রাঃ থেকে বর্ণিত—তিনি এক ব্যক্তি থেকে বর্ণনা করেন, তিনি আলি রাঃ থেকে বর্ণনা করেন, আলি জামাল যুদ্ধের দিন বলেন, নিশ্চয় রাসুল সাঃ আমাদের নিকট নেতৃত্বের ব্যাপারে কোন সিদ্ধান্ত দেননি। তবে এই বিষয়টি আমরা নিজেরা বুঝে নিয়েছি। সুতরাং যদি তা সঠিক হয়ে থাকে, তবে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি কোনো ভুল হয় তাহলে তা আমাদের উপরে বর্তাবে। অতঃপর আবু বকর রাঃ খলিফা নিযুক্ত হলেন এবং তিনি ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করলেন। অতঃপর উমর রাঃ খলিফা নিযুক্ত হলেন এবং তিনিও ইনসাফ প্রতিষ্ঠা করলেন। এমনকি দীনকে সম্মুখে নিয়ে গেলেন। অতঃপর অনেক জাতি দুনিয়া অন্বেষণ করতে লাগলো। আল্লাহ যাদেরকে চান তাদেরকে ক্ষমা করেন । আর যাদেরকে চান শাস্তি দেন ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.১৯৭]
আবু ওয়ায়েল রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমি আম্মার -কে এই মিম্বারের উপর বলতে শুনেছি নিশ্চয়ই আয়েশা রাঃ দুনিয়া ও আখিরাতে উভয় জায়গায় তোমাদের নবি -এর স্ত্রী। তবে তিনি হলেন পরীক্ষা—যা তোমাদের থেকে নেওয়া হয়েছে ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.১৯৮]
হুযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাঃ থেকে বর্ণিত—তিনি বলেন, রাসুল সাঃ বলেন, হাউযের নিকট বিভিন্ন জাতি আমার কাছে উপস্থিত হবে। যাদেরকে আমিও চিনব এবং তারাও আমাকে চিনবে, তবে আমি ব্যতীত তারা সবাই কাঁপতে থাকবে, তখন আমি আরজ করলাম—হে আমার প্রতিপালক! এরা আমার সঙ্গি, এরা আমার সঙ্গি। তখন আল্লাহ বলবেন, নিশ্চয়ই আপনি জানেন না, আপনার অবর্তমানে তারা কি নতুন জিনিস উদ্ভাবন করেছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.২০০]
যুহরি রাঃ থেকে বর্ণিত—তিনি বলেন, রাসুল সাঃ -এর সাহাবারা অনেক থাকা সত্ত্বেও ফিতনা প্রবলবেগে উত্তেজিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.২০১]
ইবরাহিম খালেদ হায্যা, হাসান রাঃ থেকে বর্ণনা করে বলেন, আলি রাঃ বলেন, নিশ্চয়ই আমি আশা রাখি যে, আমি, তালহা ও যুবাইর ঐ সমস্ত লোকদের অন্তর্ভুক্ত হবো, যাদের ব্যাপারে আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, তারা পরস্পর ভাই ভাই মুখামুখি হয়ে আসনে বসবেন। [হিজর : ৪৭]
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.২০৪]
সুলাইমান ইবনু সুরাদ রাঃ থেকে বর্ণিত—তিনি বলেন, আমি আলির রাঃ নিকট এমতাবস্থায় পৌঁছলাম, যখন তিনি জামাল যুদ্ধ থেকে অবসর হন। তিনি আমাকে দেখে বললেন, হে ইবনু সুরাদ! তুমি দুর্বল হয়ে স্থানচ্যুত হয়ে পড়েছো এবং আল্লাহ তোমার সাথে কি আচরণ করবেন তার অপেক্ষা করছ? তখন আমি বললাম, হে আমিরুল মুমিনীন, নিশ্চয়ই সফর অনেক লম্বা আর আল্লাহ অনেক বিষয় অবশিষ্ট রেখেছেন, যার মধ্যে তুমি তোমার শত্রুকে বন্ধু থেকে চিনতে পারবে।
যখন তিনি দণ্ডায়মান হলেন, আমি হাসান ইবনু আলি রাঃ কে বললাম, আমি তোমাকে দেখছি, তুমি আমার থেকে বেপরোয়া হয়ে গেছ অথচ আমি তার সঙ্গে উপস্থিত হতে অনুরাগী। তখন তিনি বললেন, ইনি তোমাকে তা-ই বলেন, যা তুমি বলছ। আর জামাল যুদ্ধের দিন যখন কিছু মানুষ কিছু মানুষের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে গেল, তখন তিনি আমাকে বলেন, হে হাসান! তোমার মায়ের সন্তান বিয়োগ হোক। আল্লাহর কসম! এরপর আর কোন কল্যাণ দেখিনি ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.২০৭]
মুহাম্মাদ ইবনু আলি রাঃ থেকে বর্ণিত—তিনি বলেন, আলি রাঃ বলেন, যদি উসমান রাঃ আমাকে সিরার নামক স্থানেও ভ্রমণ করিয়ে ফেরান, তবে ও আমি তার কথা শুনবো ও অনুসরণ করবো ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.২০৮]
আয়েশা রাঃ থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আল্লাহর শপথ! আমি সর্বদাই চেয়েছি যে, কখনোই আমি উসমান রাঃ সম্পর্কে কোন বাক্য উল্লেখ করব না। যদিও আমি দুনিয়ায় কুশ্রী অবস্থায় জীবনযাপন করি। উসমান রাঃ -এর একটি আঙুল, যা দ্বারা তিনি আসমানের দিকে ইঙ্গিত করেন বলেন, তা আলি রাঃ এর পূর্ণ যমিন থেকে উত্তম ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.২০৯]
উহবান গিফারির মেয়ে থেকে বর্ণিত—আলি রাঃ উহবানের নিকট এসে বললেন, কিসে তোমাকে আমার অনুসরণ করতে বাঁধা দিচ্ছে। প্রতিউত্তরে তিনি বলেন, আমাকে আমার বন্ধু এবং আপনার চাচাত ভাই (মুহাম্মাদ ) উপদেশ দিয়েছেন, ‘ভবিষ্যতে মানুষ বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়বে এবং ফিতনার মতবিরোধ দেখা দিবে। যখন এমনটি ঘটবে, তখন তুমি নিজের তরবারি ভেঙ্গে ফেলো। নিজের ঘরে বসে থেকো। এবং কাঠ দ্বারা তরবারি তৈরী করে নিও ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ -.২১১]
Comments 0