সুফিয়ানি এবং কালো পতাকার সাক্ষাত, তাদের মাঝে মহাযুদ্ধ এবং ইমাম মাহদির প্রত্যাশা - কিতাবুল ফিতান
সুফিয়ানি এবং কালো পতাকার সাক্ষাত, তাদের মাঝে মহাযুদ্ধ এবং ইমাম মাহদির প্রত্যাশা - কিতাবুল ফিতান
হযরত আলী রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সুফিয়ানী ও কালো ঝান্ডাবাহী দলের সাথে সাক্ষাত ঘটবে। যে দলের মাঝে বনু হাশেমের এক যুবক থাকবে। তার বাম তালুতে থাকবে বন্ধুত্ব বা কার্য সম্পাদনের শক্তি। আর উক্ত দলের সম্মুখভাগে বনু তামিমের এক ব্যক্তি থাকবে। যাকে শুয়াইব ইবনে সালেহ বলা হবে। তাদের সাক্ষাত ঘটবে বাবে ইস্তাখরাতে। তাদের মাঝে বড় একটি যুদ্ধ হবে। সে যুদ্ধে কালো ঝান্ডাবাহী দল জয়ী হবে। এবং সুফিয়ানীর সৈন্য পলায়ন করবে। আর সে সময়ই মানুষ ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের আকাংখা করবে এবং তাকে খুজতে থাকবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১৪ ]
হযরত জামরা ইবনে হাবীব ও তার শাইখদের থেকে বর্ণিত যে, তারা বলেন সুফইয়ানী তার অশ্বারোহী বাহিনী ও সৈন্যদল প্রেরণ করবে। তারা খোরাসানের আম্মাতুশ শিরকে ও পারস্য ভুমিতে পৌছবে। অতপর পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীরা তাদেও সাথে বিদ্রোহ করবে। ফলে তারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে। আর তাদের সাথে বিভিন্ন জায়গায় অনেক যুদ্ধ হবে। যখন তাদের মাঝে যুদ্ধ বিগ্রহ দীর্ঘস্থায়ী হবে তখন বনু হাশেমের এক ব্যক্তির নিকট বাইয়াত গ্রহন করবে। আর সে সেদিন পূর্বাঞ্চলের একেবারে শেষে থাকবে।
অতপর সে খোরাসানবাসীদের নিয়ে বের হবে। উক্ত দলের সম্মুখে থাকবে বনু তামিমের আযাদকৃত গোলাম। সে হবে হলুদ বর্ণের, পাতলা দাড়ি ওয়ালা। পাচ হাজারের এক বাহিনি নিয়ে সে বের হবে। যখন তার নিকট তার বের হওয়র খরব পৌছবে তখন সে তার নিকট বাইয়াত গ্রহণ করবে এবং তাকে সম্মুখে দিবে। সেদিন যদি তাদের সামনে রাওয়াসীর পাহাড়ও আসে তাহলে তারা তাও মিটিয়ে দিবে।
অতপর তার সাথে সুফিয়ানীর সৈন্যদের সাথে দেখা হবে। অতপর সে তাদের পরজিত করবে। আর তাদের থেকে বিশাল এক অংশকে সেদিন হত্যা করবে। এমনিভাবে তাদেরকে এক এলাকা হতে আরেক এলাকায় পরাজিত করতে থাকবে। এমনকি তাদের ইরাকের দিকে পরাজিত করে দিবে। অতপর তাদের ও সুফিয়ানীর অশ্বারোহীদের মাঝে যুদ্ধ হবে। আর সে যুদ্ধে সুফিয়ানীর বিজয় হবে। আর হাশেমী পালায়ন করবে।
আর শুয়াইব ইবনে সালেহ গোপনে বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে বের হয়ে যাবে। সে ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের আবাস স্থল গোছাতে থাকবে, তখন তার নিকট সিরিয়ায় ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের অভিবাবের খবর আসবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১৫ ]
হযরত ওলীদ রাঃ হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমার নিকট এ খবর পৌঁছেছে যে, এই হাশেমী ব্যক্তি মাহদী আলাইহিস সালামের পিতার দিকের সৎ ভাই। আর কতিপয় বলেন উক্ত ব্যক্তি মাহদী আলাইহিস সালামের চাচাতো ভাই।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১৬ ]
হযরত ওলীদ রাঃ সহ কতিপয় বর্ণনাকারী বলেন সে মৃত্যুবরণ করবে না। তাবে পরাজয়ের পওে সে মক্কায় উদ্দেশ্যে বের হবে। অতপর যখন মাহদী আলাইহিস সালামের অবির্ভাব হবে তখন তার সাথে বের হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১৭ ]
হযরত তুবাঈ রাঃ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সুফিয়ানী তার সৈন্য দল মারওয়ার রুযে রুমে পাঠাবে। যাতে সে উক্ত স্থানের অন্যদিকে যা আছে তা অর্জন করতে পারে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১৮ ]
[ নোটঃ মারওয়ার রুয। এটা মধ্যযুগীয় জনবসতির নাম, যা খোরাসানে অবস্থিত ছিল। ফার্সিতে বলা হত ১৯, ১ মারওয়ায়ে কুচিক। এটা আধুনিক আফগানিস্তানের বালা মুর্গাব-এর কাছে অবস্থিত ছিল- Bosworth, C. E. (1991). Marwal - Rüdh. In Bosworth, C. E.; van Donzel, E. & Pellat, Ch. (eds.). The Encyclopaedia of Islam, New Edition, Volume VI: Mahk-Mid. Leiden: E. J. Brill. pp. 617–618. ISBN 90-04-08112-7]
হযরত যুহরী থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন কুফা থেকে মারওয়ার এর দিকে একটি দল পাঠানো হবে। এমনভাবে হিজাজের দিকেও একটি দল পাঠানো হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯১৯ ]
হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের দিকে তার পরিবার হতে পূর্বাঞ্চলে এক ব্যক্তি বের হবে। তার কাধে আঠারো মাস তরবারী থাকবে। সে যুদ্ধ করবে এবং অনুসরণ করবে অর্থাৎ যুদ্ধ করতে থাকবে। এবং বাইতুল মুকাদ্দাসের দিকে অগ্রসর হতে থাকবে। সেখানে পৌছানোর পূর্বেই সে মারা যাবে। সে বাইতুল মুকাদ্দাসে পৌঁছতে পারবে না।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯২০]
হযরত আবু জা'ফর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন খোরাসান হতে আগত যে কালো ঝান্ডাবাহী দল কুফায় অবস্থান নিবে। অতপর যখন মক্কায় ইমাম মাহদী আলাইহিস সালামের অবির্ভাব ঘটবে তখন অনুগত্যের (স্বীকার করার জন্য) জন্য মাহদী আলাইহিস সালামের নিকট একটি দল প্রেরণ করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯২১ ]
Comments 0