বর্বরতার প্রথম লক্ষন এবং পশ্চিমাদের আত্নপ্রকাশ-কিতাবুল ফিতান
বর্বরতার প্রথম লক্ষন এবং পশ্চিমাদের আত্নপ্রকাশ-কিতাবুল ফিতান
আব্দুস সালাম ইবনে মাসলামা থেকে বর্নিত তিনি বলেন আমি আবু কাবিলকে বলতে শুনেছি, যখনই মিশরের মিম্বরে আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাঠ করা হবে, তাহলে বেশিদিন আর অপেক্ষা করতে হবেনা সেই মিম্বরে পৃথিবীর নিকৃষ্টতম বাদশাহ আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ থেকে বক্তব্য পাঠ করা হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৩৮ ]
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হোযাইফা ইবনুল ইয়ামান রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি মিশর বাসীদেরকে বলেন, যখন মাশরিক বাসীদের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে কোনো পয়গাম আসে, যার মধ্যে আব্দুল্লাহ আমীরুল মুমিনীনের পক্ষ হতে বক্তব্য থাকবে, তখন তোমরা অন্য আরেকটি পয়গামের অপেক্ষা করতে থাকো।
সেটা আসবে মুলতঃ আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ আব্দুর রহমান কর্তৃক প্রেরিত হয়ে মাগরিব বাসীদের পক্ষ থেকে আসবে। শপথ সেই সত্ত্বার যার হাতে হোজাইফার জীবন রয়েছ, তোমরা এবং তাদের মধ্যে ব্রিজের নিকটে তুমুল যুদ্ধ হবে। তারা তোমাদেরকে কাফের আখ্যায়িত করে মিশর এবং শাম দেশ থেকে বের করে দিবে। এহেন পরিস্থিতিতে পঁচিশটি দেরহাম নিয়ে জনৈকা আরবী নারী দিমাশকের গেইটে তোমাদের অনুস্বরণ করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৩৯ ]
হযরত আবু সা'বা উতবা ইবনে তামীম আততানুখী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আব্বাসী বাদশাহদের একজন তোমাদের প্রতি একটি পয়গাম প্রেরন করবেন, যার মধ্যে মিশর বাসীর উদ্দেশ্যে লেখা থাকবে আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে। এধরনের কোনো ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে মনে করতে হবে এটাই হচ্ছে তাদের রাজত্ব চলে যাওয়া এবং আব্বাসীয়দের সময় ফুরিয়ে আসার প্রথম লক্ষণ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৪০]
হযরত কা'ব রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ নামক এক লোক আব্বাসীয় বাদশাহ হবে। তিনি খুবই বিচক্ষন হবেন, তার মাধ্যমে তারা বিজয়ী হবে এবং তার হাতেই তাদের কল্যাণ নিহিত থাকবে। তিনিই হবেন, বালা-মুসিবতের চাবি এবং ধ্বংসের তলোয়ার। এক পর্যায়ে আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুল্লাহর পক্ষ থেকে শাম দেশ থেকে আগত একটা চিঠি পাঠ হবে।
এরপর বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না বরং তোমাদের কাছে এসে পৌছবে আমীরুল মুমিনীন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্দুর রহমানের পয়গাম। সেটাও মিশরের মিম্বরে পাঠ করা হবে। উক্ত ঘটনা প্রকাশ পাণ্ডার কিছুদিনের মধ্যেই মাশরিক মাগরিব বাসীরা শাম দেশের দিকে ধেয়ে আসবে। যেন সম পর্যায়ের দুটি বাজির ঘোড়া পরস্পরের দিকে ধেয়ে আসছে। তারা দেখতে পাবে নিঃসন্দেহে রাজত্ব ও ক্ষমতা যারা শাম বাসীদের আনুগত থাকবে তাদের হাতে বাকি থাকবে। প্রত্যেকে একথা বলবে, যারা বিজয়ী হবে একমাত্র তারাই রাষ্ট্র ক্ষমতার মসনদে আরোহন করবে ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৪২ ]
হযরত যুহরী রহঃ থেকে বর্নিত তিনি এরশাদ করেন, যখন মিশরে হলুদ পতাকাবাহী বাদশাহ প্রবেশ করবে তখন তোমরা গিয়ে ব্রিজের পাদ-দেশে একত্রিত হতে থাকো এবং মাশরিক মাগরিব থেকে আগত সৈন্যের অপেক্ষা করতে থাকো। সেখানে মোট সাতবার যুদ্ধ সংঘটিত হবে এবং সকলে আহত হয়ে রক্তে রনিজত হয়ে যাবে। মোট কথা সব ধরনের ফিৎনা সেখানে হতে থকবে। এক পর্যায়ে মাশরিক বাসীরা পিছু হঠতে থাকবে এবং রামলা নামক স্থানে গিয়ে অবস্থান নিবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৪৪ ]
হাবীব ইবনে সালেহ রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, পশ্চিমাদের মধ্যে আব্দুর রহমান নামক এক লোক প্রকাশ পাবে। এক পর্যায়ে সে হিমস নামক স্থানে এসে তার মিম্বরে আরোহন করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৭৪৫ ]
আবু হাসসান থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, আব্বাসীয়দের মধ্যে তিনজন বাদশাহ এমন হওয়া জরুরী, যাদের নামের প্রথম অংশ হবে, ‘আইন'।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৭৪৬]
Comments 0