যখন সুফিয়ানির প্রেরিতরা ইরাকে পৌঁছবে, তখন বাগদাদ ও মদিনাতুষ যাওরাতে ঘটা ঘটনা এবং তার ধ্বংসযজ্ঞ - কিতাবুল ফিতান
যখন সুফিয়ানির প্রেরিতরা ইরাকে পৌঁছবে, তখন বাগদাদ ও মদিনাতুষ যাওরাতে ঘটা ঘটনা এবং তার ধ্বংসযজ্ঞ - কিতাবুল ফিতান
হযরত আবু জা'ফর রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন সুফিয়ানী আবকা, মানসূর, কিনদি, তুর্কি, ও রোমে প্রকাশ পাবে তখন সে বের হবে এবং কুফার দিকে যাবে। অতপর চিকিৎসা বা আরোগ্য ওয়ালা উত্থিত হবে। আর সেখানেই হালাকু আব্দুল্লাহ থাকবে। আর সে অপসারিতকে অপসারিত করবে। আর সে মদীনয়ে যাহরার অধিবাসীদের অজ্ঞাতে তাদের মাঝে সম্পৃক্ত হয়ে যাবে। অতপর শহরে চাপ সৃষ্টির কারণে আখওয়াছ তথা ছোট চোখ বিশিষ্ট হওয়া প্রকাশ পাবে। ফলে সেখানে অনেক বড় একটা যুদ্ধ হবে। আর সে যুদ্ধে আব্বাসের বংশধরের ছয় জন নেতাকে হত্যা করা হবে। আর সেখানে বড় হত্যাযজ্ঞ হবে। অতপর সে কুফার দিকে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৮৪ ]
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে গানাম হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন দুই জন বাঁদী মহিলা তাড়াতাড়ি আটা পিষতে যাতার নিকট বসবে। তাদের এক জন যমিনে ধসে যাবে আর অন্য জন দেখতে থাকবে। আর অচিরেই তারা উভয়ে পাশাপাশি জীবিত থাকবে। আর তাদের দুই জনের মাঝে একটি নদী চিরবে বা সৃষ্টি হবে। আর তারা উভয়ে সেখান থেকে পান করবে। তারা একে অপরকে পাবে। সময়ের মধ্য হতে তাদের দুই জন এমন একটি দিনে উপস্থিহ হবে যে দিনে তাদের একজনকে নিয়ে যমিন ধসে যাবে। আরেকজন তা দেখতে থাকবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৮৭ ]
হযরত হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি, হযরত ওমর, হযরত আলী, হযরত ইবনে মাসউদ, হযরত আবু কা'ব, হযরত ইবনে আব্বাস ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কতিপয় সাহাবী রাযিয়াল্লাহু আনহুম হা-মীম, আইন, সীন, কাফ সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে প্রশ্ন করলেন।
অতপর হযরত হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন (আরবী অক্ষর) আইন দ্বারা আযাব বা শাস্তি উদ্দেশ্য। এমনি ভাবে সীন দ্বারা সুন্নাত ও জামা'আত উদ্দেশ্য। আর কাফ দ্বারা এমন একটি দল উদ্দেশ্য যারা শেষ যমানায় অপবাদ ছড়াবে।
অতপর হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু তাকে বললেন হা-মীম দ্বারা কারা উদ্দেশ্য? তিনি বললেন মদীনায় একটি স্থানের নাম যাওরা সেখানে হযরত আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু এর বংশধরের থেকে কিছু লোক থাকবে। আর সেখানে একটি ভীষণ যুদ্ধ হবে। আর সেখানেই কিয়ামত সংগঠিত হবে।
অতপর ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু বললেন আমাদের মাঝে এমন কিছু নেই। তবে ক্বাফ দ্বারা উদ্দেশ্য হল নিক্ষেপ ও ধসে যাওয়া হবে। হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু হযরত হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহু কে বললেন তুমি তাফসীর সঠিক করেছ। আর ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু মা'না (তা'বীর) ঠিক করেছে। সুতরাং ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু এর সঠিকতাকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এমনকি হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু সহ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনেক সাহাবায়ে কিরাম হযরত হুযাইফা রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে যা শুনেছেন তা থেকে তার দিকে সম্মন্ধ করেছেন।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৮৮ ]
হযরত আবান ইবনে ওলীদ ইবনে উকবা ইবনে আবু মুঈত হতে বর্ণিত যে, তিনি হযরত ইবনে আব্বাস রাযিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছেন যে, সুফিয়ানী বের হবে অতপর যুদ্ধ করবে। এমনকি মহিলাদের পেট চিড়বে। এবং ছোট শিশুদেরকে কড়াই এর মধ্যে টগবগে গরমের মধ্যে জ্বাল দিবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৮৯ ]
হযরত কা'ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন বনু আব্বাসের মহিলাদেরকে আটক করা হবে। এবং তাদেরকে দামেস্কের গ্রামে নেওয়া হবে ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৯০ ]
হযরত আরতাত রাঃ থেকে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন ফুরাতের উপর শহর স্থাপণ করা হবে। আর সেটা হল নাকাফুন নিক্বাফ (যা দ্রুত শেষ হয় যা। আর পাখির চক্ষু)। আর যখন দামেস্কের ছয় মাইল দূরে শহর স্থাপণ করা হবে তখন তোমরা যুদ্ধের জন্য সংকল্প কর।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৯১]
Comments 0