রাক্কায় শাম এবং বনু আব্বাসের ঘটনা ও সুফিয়ানির আলচনা-কিতাবুল ফিতান
রাক্কায় শাম এবং বনু আব্বাসের ঘটনা ও সুফিয়ানির আলচনা-কিতাবুল ফিতান
হযরত ওজীন ইবনে আতা রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, চতুর্থ ফিৎনা মূলতঃ রাক্কাহ থেকে সূচনা হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৬৮ ]
নোট: আজ এই রাক্কাতে এমন অনেক কিছুই হচ্ছে, যা সেই ফিতনা সমূহ সম্ভাবনা রাখে। বর্তমানের ইরাকের রাক্কাতে যা কিছু হচ্ছে, তা স্বাভাবিক হওয়ার কোনো বিষয় নয়। এখানে বর্তমানে এমনসব বিষয় ঘটছে, যা পৃথিবীর অগ্নি সময়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এখানে এমনসব বিষয়ই ঘটছে, যা হাদিসে শেষ জামানায় হবে বলে মুসলমানদেরকে অনেক আগেই বলে গিয়েছেন ।
ওলীদ রাঃ জনৈক মুহাদ্দিস থেকে বর্ননা করেন, বনু আব্বাছের মাঝে এখতেলাফের সূচনা হচ্ছে, খোরাসান থেকে একটি ঝান্ডার আত্নপ্রকাশ হওয়া।খোরাসান থেকে একটি ঝান্ডার আত্নপ্রকাশকে কেন্দ্র করে তাদের মাঝে মানবিতু্যু জাফরানে তীব্র যুদ্ধ সংঘঠিত হবে। সেখানে অংশ গ্রহণকারী সকলে মারা যাবে। মানাবিত জাফরানের ঘটনা মানুষের কাছে পৌছলে, যখন তিনি পবিত্র মদীনাতে ঝর্নার মাঝামাঝি স্থানে অবস্থান করছিলেন। এক পর্যায়ে তাদের কাছে ধন সম্পদ, টাকা-পয়সা যার কাছে যা কিছু আছে সব নিয়ে বেড়িয়ে পড়বে। ফলে হাররান নামক এলাকায় এসে যাত্রা বিরতী করবে।
এহেন পরিস্থিতিতে তাদের কাছে সংবাদ আসবে, পশ্চিমাদের জনৈক বাদশাহ হামলা করেছে। তার মোকাবেলা করার জন্য সৈন্য প্রেরন করলে তারা পরাজিত হবে এবং সে এবং তার সাথী বর্গ শাম দেশে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন করবে। এ সময় আমমান জনৈক ঘোষক ঘোষনা করবে, “ধ্বংস হোক হিমস বাসীদের জন্য, যারা স্পষ্ট চোখ বিশিষ্ট হবে"।
তখনই প্রত্যেক বিবাহিত এবং সন্তান ওয়ালী নারীগন গর্ভবর্তী হয়ে যাবে। এভাবে চলতে চলতে নাহার সম্বলিত এলাকায় এসে অবস্থান নিবে। সেখানে এক জালেম বাদশাহকে হত্যা করা হবে। এবং তার যাবতীয় সম্পদ তাকসীম করে দেয়া হবে। এরপর তারা হাররান নামক মদীনাতুল আসনামে এসে পৌছবে সেখানে বাসিন্দাদের পেট ফেড়ে ফেলা হবে এবং তাদের একতা বদ্ধতা নষ্ট করা হবে।
আরেকটি বাহিনী মাশরিকের দিকে প্রেরন করা হবে এবং সেখানের বাসিন্দাদের কাছ থেকে বাধ্যতা মূলক ভাবে বাইয়াত নেয়া হবে। সেখানে দীর্ঘ আঠারো মাস পর্যন্ত অবস্থান করবে। এরপর খাবুরের দিকে যেতে থাকবে এবং সেখানেও দীর্ঘদিন থাকবে। এরপর মারবাজুস সূরের দিকে যাবে এবং সে এলাকাকে প্রচন্ড উত্তপ্ত অবস্থায় রেখে আসবে। অতঃপর মাশরিক বাসিরা তাকে বর্জন করে পাহাড়ের ভিতরে চলে যাবে এবং সেখানে তার পরিবারের একজন তার সাথে গাদ্দারী করে তাকে হত্যা করবে তারপর মাশরিক বাহিনী এসে হাররান এবং রুনা নামক স্থানের মাঝামাঝি এলাকায় অবস্থান নিবে। এবং ঘরের মাঝখান থেকে জনৈক আমরাদের আত্ন প্রকাশ হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৬৯ ]
হযরত আবু উমাইয়া কালবী রহঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কালো ঝান্ডা বাহীরা যুদ্ধে লিপ্ত হবেন, তাদের ভিতর থেকে সাত জনের একটা কাফেলার আত্নপ্রকাশ হবে। এবং গ্রাম বাসিদের কাছে তার সাহায্যের আবেদন করে লোক প্রেরন করবে। তারা সরাসরি অস্বীকার করবে। এদিকে বনুল আব্বাছের অভিভাবকত্ব গ্রহন কারীর কাছে তাবরিয়া নামক স্থানে তার আগমনের সংবাদ পৌঁছে যায়। তখন তার উদ্দেশ্যে বিশাল বাহিনী প্রেরন করে।
তারা পরস্পরের মুখোমুখি হলে প্রত্যেক সৈন্য তার প্রতিপক্ষের উপর ঝাপিয়ে পড়বে দুই দলের প্রধানদ্বয়ও একে অপরের উপর আক্রমন করবে। এবং তাকে সবকিছু জানাবে। তখন খারেজী এবং তার সাথের লোকজন টীলার দিকে অবস্থিত বড়ই গাছের দিকে ধাবিত হবে এবং তার ছায়ায় আশ্রয় নিবে। এসময় গ্রাম বাসিরা এসে তার হাতে হাত রেখে বাইয়াত গ্রহন করবে এবং তার সাথে ভ্রমন করতে থাকবে। আফহাওয়ানা নামক স্থানে পৌছলে বুহাইরায়ে তাবরিয়্যাহ কাছাকাছি স্থানে তাদেরর মধ্যে তীব্র লড়াই হবে। তাদের রক্তে সমুদ্রের পানি পর্যন্ত লাল হয়ে যাবে। অতঃপর তারা পরাজিত হবে।
জাবিয়া নামক স্থানে আবারো যুদ্ধ সংঘটিত হবে, যার কারনে জাবিয়া নামক স্থানের আশে পর্শের প্রায় পাঁচ মাইল পর্যন্ত এলাকা ধ্বংসস্তূপে পরিনত হবে। ঐ সময় দূরবর্তী এলাকার লোকজনের জন্য যেন আশীর্বাদ হবে। সেখানেও তারা পরাজিত হবে আবারো তারা দিমাশকে এসে মিলিত হবে। সেখানে উভয় দলের মাঝে ভয়াবহ লড়াই হবে। এক পর্যায়ে ঘোড়ার শরীরের অর্ধেক পর্যন্ত রক্তের মধ্যে ডুবে যাবে এবং তারা পরাজিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭০]
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাছ রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি এরশাদ করেন, মাশরিক বাহিনী থেকে এক লোকের আত্নপ্রকাশ হলে সে এলাকার বাদশাহ নিজের এলাকা ছেড়ে পলায়ন করবে এবং রাক্কাহ ও হাররান নামক এলাকায় তাদের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ হবে। তখন কুরাইশের এক লোক তাকে হত্যা করবে এবং সে এলাকায় আবু সুফিয়ানের বংশধর থেকে এক লোক আত্নপ্রকাশ হবে। তাকে কুফর শাষক হাররান নামক এলাকায় হত্যা করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭১ ]
বিশিষ্ট সাহাবী হযতত সাওবান রাযিঃ থেকে বর্নিত, তিনি বলেন, কিছু দিনের মধ্যে এমন এক খলীফা আত্নপ্রকাশ করবে, লোকজন যার হাতে বাইয়াত গ্রহনে অস্বীকৃতি জানাবে। এবং তার নায়েব তার দুশমন হয়ে যাবে। যার কারনে একাকী সফর করা বিহীন তার আর কোনো উপায় থাকবেনা এভাবে চলতে চলতে এক সময় তার দুশমনের উপর বিজয়ী হবে।
ইরাক বাসিরা তাকে ইবায় ফিরিয়ে নিতে চাইলে সে অস্বীকৃতি জানাবে এবং বলবে এটা হচ্ছে, যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত স্থান, যার কারনে তারা তাকে ছেড়ে চলে যাবে। তাদের মধ্য থেকে একজনকে নেতা নিযুক্ত করবে, সকলে তার কাছে যাবে এবং হিমস নগরীর হানাসিরা পাহাড়ে তার স্বাক্ষাৎ পাবে। শাম বাসিদের কাছে এসংবাদ পাঠানো হলে তারা একজনের সান্নিধ্যে জমায়েত হবে, তাদের সাথে ভয়াবহ একটি লড়াই হবে। এমনকি একলোক তার বাহনের উপর দাঁড়িয়ে দুদলের সৈন্যসংখ্যা গণনা করে ফেলবে
এরপর ইরাকবাসী তাদেরকে পরাজিত করে কুফায় ঢুকিয়ে দেবে এবং তাদের মধ্যে যারা অস্ত্রধারণে সক্ষম, তাদের সবাইকে হত্যা করবে এবং এমন ব্যক্তিদেরকেও তারা হত্যা করবে, যাদের কাছে লাঠিও থাকবে। আবু আসমাকে প্রশ্ন করা হল, তুমি কি এসব রাসুল থেকে শুনেছো? তিনি বললেন, তবে আর কার থেকে!?
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭২ ]
হযরত ওয়ালিদ ইবনে হিশাম রাঃ হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন তারা সেখানে প্রচন্ড যুদ্ধ করবে। অতপর আমরা তাদের এভাবে বর্ণনা করলাম। যখন সুফিয়ানী তাদের নিয়ে বিদ্রোহ করবে, তখন উভয় দল ছত্রভঙ্গ হয়ে যাবে। এমনকি আল্লাহ তা'আলা তাদেরকে কুফায় প্রবেশ করাবেন। ফলে দিনের প্রথমাংশ হবে তাদের জন্য। আর শেষাংশ হবে তাদের বিরুদ্ধে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭৩ ]
হযরত আবু নযর হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আমার নিকট রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর জনৈক সাহাবী রাযিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন ইরাকে জনৈক বাদশা অবস্থান নিবে। যার নিকট সিরিয়া বাসীরা বাইয়াত গ্রহণে অপছন্দ করবে। অতপর যা হবার তাই হবে।
তার নিকট এখবর আসবে যে, তার শত্রু তার দিকে আসছে। সে তার দিকে যাবার কোন পথ পাবে না । অতপর পথ পাবে এবং তার দিকে সিরিয়া দিয়ে গমন করবে। পথিমধ্যে তার সাথে সাক্ষাৎ হবে এবং তাকে হত্যা করে দিবে।
অতপর সে ইরাকবাসীদের যারা তাকে সাহায্য করবে তাদের বলবে, এটা আমার দেশ। এটা আমার যমিন। এটা আমার ভূমি । আর তোমরা তোমাদের দেশে ফিরে যাও। আমি তোমাদের থেকে অমুক্ষাপেক্ষী হতে চাই। ফলে তারা তাদের দেশে ফিরে যাবে। অতপর তারা বলবে আমরা তাকে বাদশা বানিয়েছি। আর আমরা তাকে সাহায্য করেছি। আর আমরা তাকে ব্যতীতই মানুষদের হত্যা করেছি। তার পরও সে আমাদের দেশ ছাড়া অন্য দেশ গ্রহণ করেছে। চলো আমরা সকলেই একত্র হই যাতে আমরা তার সাথে যুদ্ধ করতে পারি।
সুতরাং তোমরা তার দিকে সফর কর। তিন লাখ সন্দেহপূর্ণ লোক থাকবে। তারা তার সাথে হিস নামক এলাকায় মিলিত হবে। অতপর তারা সেখানে যুদ্ধ করবে। আর সেখানে তাদের মাঝে প্রচন্ড যুদ্ধ হবে। এমন যুদ্ধ ইতিপূর্বে আরবদের মাঝে আর হয় নাই। তাদের উপর সবর ঢেলে দেওয়া হবে। তাদের থেকে সাহায্য উঠিয়ে নেয়া হবে। এমনকি একজন ব্যক্তি তাদের মাঝে দাড়াবে এবং যদি সে তাদেরকে গণনা করতে চায় তাহলে সে তাদের অবশিষ্ট লোকদের সংখ্যা কম হওয়ার কারণে সে গণনা করতে পারবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭৪ ]
হযরত কা'ব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন যখন বনু আব্বাসের মধ্যে শেষ বার মতানৈক্যতা দেখা দিবে। আর সেটা হবে সুফইয়ানী ইবনে আকেলাতুল আকবাদের অবির্ভাবের পর। আর তাদের শেষের মতানৈক্যতার ভিতরে ধ্বংসযজ্ঞ থাকবে। আর তখন তোমরা ছানিয়্যা এর ঘটনা, সালিমার বড় দুই বসতির ঘটনা এবং হুসের ঘটনা যা অনেক বড় তার অপেক্ষা কর। আর তখন বনু আব্বাস ও পূর্বের অধিবাসীরা পরাজয় বরণ করবে। এমনকি তাদের মহিলাদের বন্দি করা হবে। এবং তারা কুফায় প্রবেশ করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৭৫]
হযরত ইয়াকুব ইবনে ইসহাক হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন একজন লোক যে ফিতানের আলামত হবে। তিনি বলেন সে রাক্কায় অবস্থান নিবে। আর সে হবে আব্বাসীয় বংশভূত একজন লোক । অতপর সে সেখান দুই বছর অবস্থান করবে। সে রোমের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। অতপর সে রোমের উপর যতটানা বিপদের কারণ হবে তার বেশী বিপদের কারণ হবে মুসলমানদের উপর।
অতপর সে যুদ্ধ হতে রিক্কাতে ফিরে আসবে। তার নিকট পূর্বাঞ্চল হতে যা সে অপছন্দ করে তা তার নিকট আসবে। অতপর সে সিরক এ ফিরে যাবে। কিন্তু সে সেখান থেকে এর ফিরে আসবে না। অতপর তার পুত্র তার স্থলাভিষিক্ত হবে। আর তার মাথার উপরেই সুফইয়ানির অবির্ভাব হবে। এবং তার রাজত্ব কাটা পড়বে। (অর্থাত তার আমলেই সুফিয়ানী বের হবে। এবং তার মাধমেই তাদের রাজত্ব শেষ হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭৬ ]
হযরত নুযাইব ইবনে সিররী হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন পশ্চিমাদের থেকে একজন বাদশা নির্বাচিত হবে। সে উপদ্বীপের দিকে ভেগে প্রস্থান করবে। অতপর সিরিয়াবাসীদের নিকট সাহায্য কামনা করবে। অতপর তার সকলে তার নিকট জমায়েত হবে। অতপর পশ্চিমা অধিবাসীদের দিকে অগ্রসর হবে। তারা একটি পাহাড়ের নিকট একত্র হবে। যেই পাহাড়ের নাম হবে হুস। আর সেখানে অনেক আলেম কে হত্যা করা হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭৭ ]
হযরত আলী ইবনে আবু তালেব রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন সুফইয়ানীকে ইরাকের সৈন্যদের উপর প্রেরণ করা হবে। বনু হারেসা এর একজন লোক। তার দুটি পুকুর হবে। যাকে নামার অথবা কমার ইবনে আব্বাদ বলা হবে। সে হবে তার সম্মুখে বড় দেহ ওয়ালা একজন ব্যক্তি। সে হবে তার গোষ্ঠির মধ্যে দুই কাধের প্রসস্ততায় টেকো ও খাটো। অতপর তার সাথে যুদ্ধ করবে ঐসমস্ত লোক যারা সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলের অধিবাসী হবে। আরেক স্থানে আছে যে, তাকে বানিয়্যাহ বলা হবে। আর পূর্বাঞ্চলের যুদ্ধে হিমসের অধিবাসী ও তাদের সাহায্যকারীরা থাকবে। সেখানে সেদিন তাদের থেকে বিশাল বড় এক দল হবে। যারা তাদের সাথে যুদ্ধ করবে ঐ স্থানে যেটা দামেস্কের সাথে মিলানো। উহার প্রত্যেকটি তাদেরকে পরাজিত করবে।
অতপর তারা দামেস্ক ও হিমস থেকে সুফিয়ানী সহকারে ভেগে যাবে। এবং তারা মিলিত হবে। আর পূর্বাঞ্চলের লোকজন এক স্থানে থাকবে যাকে ইয়াদাইন বলা হবে। যেটা হিমসের পূর্বাংশের সাথে মিলিত। আর যেখানে পূর্বাঞ্চলের অধিবাসীদের থেকে তাদের চার তৃতীয়াংশ প্রায় সত্তর হাজার লোককে হত্যা করা হবে। অতপর তাদের উপর পিছন ফিরে পালায়ন করাটা আবশ্যক হয়ে পড়বে।
যেই সৈন্যদলকে মাশরিক তথা পূর্বাঞ্চলের দিকে পাঠানো হয়েছিল তারা সফর করে ফিরে আসবে। এবং কুফায় অবস্থান নিবে। তারপর দেখা যাবে- কত রক্ত প্রবাহিত হয়েছে ! কত উদর বিদীর্ণ হয়েছে! কত বন্ধু নিহত হয়েছে! কত সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে! কত রক্তকে বৈধ মনে করা হয়েছে। (রক্ত প্রবাহিত হয়েছে।) অতপর সুফইয়ানী তার নিকট পত্র লিখবে যে, সে উহাকে চামড়া মুছে দেওয়ার মত মুছে দিয়ে সে হেজাজে তথা উপদ্বীপে সফর করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৭৮ ]
হযরত ইবনে মাসউদ রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আব্বাসীয় বংশধরের সপ্তম পুরুষ মানুষদের কে যুদ্ধের দিকে ডাকবে। আর মানুষ তার ডাকে যুদ্ধের দিকে সাড়া দিবে না। অতপর সে বলবে আমি তোমাদের মাঝে হযরত আবু বকর রাযিয়াল্লাহু আনহু ও হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু এর রীতিনীতি চালু করবো। আর যুদ্ধলব্ধ সম্পদ সমান ভাগে ভাগ করে দিব।
তখন তার নিজের ঘরের লোকজন বলবে তুমি কি আমাদেরকে আমাদের জীবন চলার পথ থেকে বের করে দিতে চাও? ফলে তারা তার কথার উপর অস্বীকৃতি জানাবে। অতপর সে তার ঘরের কয়েকজন লোককে হত্যা করবে। তারা তাদের মাঝে যে বিষয় থাকবে তার ভিতর মতানৈক্য করবে। আর ঐ সময়ই ফাহারের বংশধরের থেকে এক লোক বের হবে। সে বর্বর লোকদেরকে একত্রিত করবে। অতপর মিসরের মিম্বার সমূহ দখল করবে। অতপর আবু সুফিয়ানের বংশধরের থেকে একজন লোক বের হবে। আর যখন ফাহারের বংশের লোকটির নিকট উক্ত ব্যক্তির বের হওয়ার খবর পৌঁছবে তখন তারা তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে যাবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৮৮০ ]
হযরত আম্মার ইবনে ইয়সির রাযিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন আব্দুল্লাহ, আব্দুল্লাহ এর অনুসরণ করবে। অতপর তাদের দুজনের সৈন্যদল কিরকিসিয়া নামক স্থানের একটি নদীর কিনারায় মিলিত হবে। অতপর সেখানে ভীষণ বড় যুদ্ধ হবে। আর পশ্চিমাঞ্চলের লোকজন চলে যাবে। ফলে তাদের পুরুষদের হত্যা করা হবে। এবং তাদের মহিলাদের বন্দি করা হবে। অতপর কাইসে প্রত্যাবর্তন করবে। এমনকি সুফইয়ানীর দিকের উপদ্বীপে অবস্থান নিবে। অতপর ইয়ামানীর অনুসরণ করবে। অতপর আরীহা নামক স্থানে কইসীকে হত্যা করবে। অতপর তারা যা জমা করছে তা সুফইয়ানী লাভ করবে। অতপর কূফার দিকে অগ্রসর হবে। অতপর আলে মুহাম্মাদের সাহায্যকারীদের হত্যা করবে।
অতপর সিরিয়ায় তিনটি ঝান্ডার উপর সুফইয়ানীর অবির্ভাব হবে। অতপর কিরকিসিয়ার পর তাদের একটি বড় ঘটনা ঘটবে। অতপর তাদের পরবর্তীদের প্রভাতের সূর্য্য উদয়টা তাদের উপর উদয় হবে। অতপর তাদের থেকে একটি দল সামনে অগ্রসর হবে। এমনকি তারা খোরাসানের যমিনে প্রবেশ করবে। অতপর সুফিয়ানীর সৈন্যদল রাত ও নদীর ন্যায় অগ্রসর হবে। তারা যার পাশ দিয়েই যাবে সব কিছু ধ্বংস করে দিবে। এবং নিঃশেষ করে দিবে। এমনকি তারা কুফায় প্রবেশ করবে। এবং মুহাম্মাদের পরিবার বর্গের সম্প্রদায়কে হত্যা করবে। অতপর প্রত্যেক ভাবে খোরাসান বাসীদের কে অনুসন্ধান করবে। আর খোরাসান বাসীরা মাহদী আলাইহিস সালামের খোজে বের হবে। আর তারা তার জন্য দোয়া করবে। এবং তাকে সাহায্য করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৮৮২ ]
Comments 0