আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের রাঃ এর ফিতনা হচ্ছে বড় ফিতনার একটি
আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়ের রাঃ এর ফিতনা হচ্ছে বড় ফিতনার একটি
হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু যুবায়েরের ফেতনা হচ্ছে, বড় বড় ফেতনার একটি অংশ। তবে সেটা গত হয়ে গেলেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত অন্য ফেৎনাগুলা ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পাবে। উক্ত ফেৎনার প্রতি কেউ এগিয়ে গেলে ফেৎনাও তার দিকে এগিয়ে আসবে এবং সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় এগিয়ে গেলে ফেৎনাও তার দিকে সমুদ্রের ঢেউয়ের ন্যায় ধরিত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৭৩ ]
হযরত আবু হুরায়রা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি এরশাদ করেন, অতিসত্ত্বর প্রকাশ পাওয়া ফেৎনা সম্বন্ধে আমি খুব ভালোভাবে অবগত আছি। যার অগ্রে থাকবে উত্যক্ত করে এমন বিষোয় যা মানুষকে ঘর বাড়ি থেকে বের করে আনবে, যেমন খোরগোশকে তার গর্ত থেকে উত্যক্ত করে বের করা হয়। আমি উক্ত ফেৎনা থেকে মুক্তির উপায়ও জানি। উপস্থিত লোকজন বললেন, সেটা কিভাবে হতে পারে, জবাবে তিনি বললেন, আমি আমার হাতকে এমন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করব, এক পর্যায়ে কেউ এসে আমাকে হত্যা করলেও আমি কিছুই বলবনা।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৭৪ ]
হযরত ইবনে দীনার রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যখন মদীনাতে রক্তপাত করা বৈধ ঘোষণা দেয় তখন হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাযিঃ রক্তপাত বর্জন করে পাহাড়ের দিকে যেতে থাকলে জনৈক শামের বাসিন্দা তার পিছু নেয়। হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাযিঃ যখন বুঝতে পারলেন যে, লোকটি তার পিছু ছাড়বেনা তখন তিনি নিজের তলোয়ার নিয়ে ঘুরে দাড়িয়ে বললেন,আমার পিছু নেয়া ছেড়ে দাও এবং এখান থেকে সরে যাও।
কিন্তু শামী লোকটি যুদ্ধ করা ছাড়া সরে যেতে অস্বীকার করলেন। তার অবস্থা দেখে হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাযিঃ নিরুপায় হয়ে নিজের হাতিয়ার ফেলে দিয়ে বললেন, তুমি যদি আমাকে হত্যা করার জন্য আমার প্রতি তোমার হাত প্রসারিত কর, আমি কিন্তু তোমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে আমার হাত তোমার দিকে প্রসারিত করবোনা। আমি নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করি। যিনি বিশ্বজাহানের পালনকর্তা।
একথা শুনে শামের বাসিন্দা লোকটি হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাখিঃ এর হাত ধরে পাহাড় থেকে নিচে নামিয়ে আনলেন। এক পর্যায়ে হযরত আবু সাঈদ খুদুরী রাযিঃ বললেন, এই স্থানে আমি যেন আমাকে রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথী হয়ে যুদ্ধ করতে দেখছি। একথা শুনে উক্ত শামী জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কে? জবাবে তিনি বললেন, আমি আবু সাঈদ খুদূরী। এরপর উল্লিখিত শামী বললেন, চলে যাও, তোমার জন্য বরকতের দোয়া রইল ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৪৭৬ ]
হযরত জাহহাক থেকে বর্ণিত, জনৈক লোক যে সর্বদা বাদশাহর মাথার কাছে অবস্থান করে সে তাকে জিজ্ঞাসা করে, যদি এমন কাউকে বাদশাহ হত্যার নির্দেশ দেয় যার সম্বন্ধে আমি কিছুই জানিনা, তাহলে আমি কি করব? জবাবে জাহহাক বলেন, তাকে হত্যা করোনা। একথা শুনে ঐ লোক বললেন, এখানে তো জনাব বাদশাহ নামদার হত্যার নির্দেশ দিয়েছেন! জাহহাক জবাব দেন, হ্যাঁ বাদশাহ হত্যা করার নির্দেশ দিলেও তোমার জন্য তার কথা মান্য করা ঠিক হবেনা। ঐ লোক বলল, বাদশাহর কথা না মানলে তো আমাকেই হত্যা করা হবে। জবাবে জাহহার বললেন, তখনতো তুমি হত্যাকারী হবেনা, বরং হত্যাকৃতদের অন্তর্ভুক্ত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৭৮ ]
মাছরূক রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বিদায় হজ্বের ভাষণে উল্লেখ করেছেন, আমার পর তোমরা কাফেরদের অন্তর্ভুক্ত হয়োনা যে, পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৭৯ ]
হযরত মুজাহিদ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি যুদ্ধরত ছিলাম। যখন আমি যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করি তখন আমাকে হযরত আব্দুল্লাহ ইবেন ওমর রাযিঃ ডেকে বললেন, হে মুজাহিদ! তোমার পর লোকজন কাফের হয়ে গিয়েছে, এইতো ইবেন যুবাইর এবং আহলে শাম পরস্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লিপ্ত হয়ে পড়েছে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৪৮০]
হযরত আবু জাফর আল-আনসারী থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি চাদর আবৃত অবস্থায় নিজের তলোয়ার সহকারে হযরত আলী রাযিঃ কে দেখলাম তিনি নারীদের ছায়ার মাঝে বসে রয়েছেন যখন হযরত ওসমান রাযিঃ কে শহীদ করা হয়েছে, তখন তিনি বলতেছিলেন, গোটা দিন তোমাদের ধ্বংস হোক।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ ৪৮১]
হযরত কুলসুম খোযায়ী রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হযরত আব্দুল্লাহ ইবেন মাসউদ রাযিঃ কে বলতে শুনেছি, নিশ্চয় আমি কোনো ভাবে পছন্দ করিনা যে হযরত ওসমানের প্রতি কোনো তীর নিক্ষেপ করব। বর্ণনাকারী মিস্আর বলেন, আমি মনে করছি, তাকে হত্যা করা আমি পছন্দ করিনা যদিও এরজন্য কেউ আমাকে উহুদ পরিমান স্বর্ণ দিয়ে থাকে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৮২ ] [ মুসান্নাফ ইবনু আবি শায়বাঃ ৩১৩৮১ ]
হযরত সাফওয়ান ইবেন আমর রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, কা'ব রহঃ থেকে কতক মাশায়েখ বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, কোনো গোত্রের মাঝে যদি ফেৎনা প্রকাশ পায় তাহলে সেটা তাদেরকে টুকরো টুকরো করে ছাড়বে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৮৩ ]
হযরত সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যার রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেন, যে লোক কোনো মুসলমানকে হত্যা করার ক্ষেত্রে সামান্য পরিমান সহযোগিতা করে তাহলে কিয়ামতের দিন সে এমনভাবে উপস্থিত হবে, তার দু চোখের মাঝখানে লেখা থাকবে, আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৮৪ ]
হযরত কাতাদাহ রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু মুসা আশআরী রাযিঃ বলেন, ফেতনা চলাকালীন মানুষের অবস্থা হচ্ছে, সে কওমের ন্যায় যারা সফর করতে গেলে তাদেরকে অন্ধকারাচ্ছন্নতা গ্রাস করে নেয়। যার কারনে তাদের একদল সে স্থানে দাড়িয়ে থাকে অপর দল সামনের দিকে চলতে থাকে। পরবর্তীতে যখনই অন্ধকারাচ্ছন্ন দুর হয় তারা নিজেদেরকে মূল রাস্তা থেকে বিচ্যুত অবস্থায় দেখতে পায়।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৮৫ ]
কাশেম ইবনে আবু আব্দুর রহমান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ এরশাদ করেছেন,আমি কি তোমাদেরকে ফেৎনার চিকিৎসা সম্বন্ধে বলবোনা। নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাআলা এমন কোনো জিনিসকে হালাল করেননা, যা ইতিপূর্বে হারাম ছিল। তোমাদের অবস্থা কেমন হবে যখন তোমাদের কোনো ভাই আজকে তোমার ঘরের দরজায় এসে অনুমতি চাইবে এবং পরের দিন এসে তাকে হত্যা করবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৮৬ ]
হযরত মুহাম্মদ ইবনে সীরিন রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সকালে হযরত ওসমান রাযিঃ এর ঘরের দরজায় জমায়েত হলে তিনি বাহিনী সহকারে বেরিয়ে আসেন তাহলে বিদ্রোহীরা হয়তো তাদেরকে দেখে সরে যাবে। বর্ণনাকারী বলেন, তাদের কথা মত হযরত ওসমান রাযিঃ সৈন্য বাহিনী সহ বের হয়ে আসলেন। এক পর্যায়ে উভয়দল থেকে তলোয়ার উম্মোচন করে একে অপরের উপর হামলা করে। যা ওসমান রাযিঃ ও দেখতে থাকেন এ অবস্থা দেখে ওসমান রাযিঃ বলেন, আমাকে উৎখ্যাত এবং আমার আমীর থাকা নিয়ে তারা যুদ্ধ করছে। এক পর্য ঘরে ফিরে গেলেন । বর্ণনাকারী বলেন, আমার জানামতে তিনি আর ঘর থেকে মারা পযর্ন্ত বের হয়নি।
মুহাম্মদ ইবনে সীরিন রহঃ বলেন, হযরত ওসমান রাযিঃ এর হত্যার ফেৎনাটি এমন সময় সংঘটিত হয়েছিল যখন রাসূলুল্লাহ সাঃ এর সাহাবায়ে কেরামের দশ হাজারেরও বেশি সংখ্যক উপস্থিত ছিলেন। যদি ওসমান রাযিঃ তাদেরকে অনুমতি দিতেন তাহলে তারা বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করতে করতে তাদেরকে মদীনার অলি-গলি থেকে তাড়িয়ে দিতে পারতেন।
বর্ণনাকারী মুহাম্মদ আরো বলেন, আব্দুল্লাহ ইবেন যুবাইর রাযিঃ আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযিঃ হযরত হাসান ইবনে আলী রাযিঃ দশহাজারেরও বেশি সাহাবায়ে কেরামের কাফেলা নিয়ে হযরত ওসমান রাযিঃ এর কাছে এসেছিলেন যেন তাদেরকে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার অনুমতি দেয়া হতো তাহলে অবশ্যই তারা বিদ্রোহীদেরকে মদীনার অলি-গলি থেকে বের করে দিতে সক্ষম হতেন।
বর্ণনাকারী মুহাম্মদ ইবেন যুবাইর, ইবনে ওমর ও হাসান ইবনে আলী রাযিঃ প্রমুখের আগমনের কথা বললেও হযরত ইবনে আওনের বর্ণনা এসেছে, হযরত নাফে রহঃ বলেন, সেদিন হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুবায়ের রাযিঃ দুইবার লৌহবর্ম পরিধান করেছেন। আমি তাকে সংবাদ দিলাম,হযরত আবু হোরায়রা রাযিঃ ওসমান রাযিঃ এর ঘরের আর্শ্বে পার্শ্বে হাটাহাটি করছে, একথা শুনে তিনি বললেন, জানিনা শেষ ফলাফল কি দাড়ায়।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৮৭ ]
হযরত আব্দুর রহমান ইবেন যুবাইর থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অবরুদ্ধ হওয়ার দিন হযরত ওসমান রাযিঃ অবরোধকারীদেরকে সম্বোধন করে বলেছেন, তোমরা আমাকে হত্যা করা কেন বৈধ মনে করছ, অথচ তিনটি কারন পাওয়া যাওয়া ব্যতীত কাউকে হত্যা করা বৈধ নয়। একটি হচ্ছে, কেউ যদি ইসলাম কবুল করার পর মুরতাদ হয়ে যায়। দ্বিতীয়তঃ বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও যিনা করলে, তৃতীয়তঃ কাউকে অন্যায়ভাবে হত্যা করলে। আমি কিন্তু উল্লিখিত তিনটি অপরাধের একটিও কখনো করিনি। আল্লাহর কসম! যদি তোমরা আমাকে হত্যা কর তাহলে পরস্পরের সাথে বিরোধের কারনে তোমরা কখনো একত্রে নামায আদায় করতে পারবেনা এবং একসাথে যুদ্ধ করাও সম্ভব হবেনা। তার মাঝে কারো মধ্যে অবশ্যই জাগতিক বাসনা থাকবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৮৮ ]
হযরত আব্দুর রহমান ইবনে জুবাইর রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম এরশাদ করেছেন, আল্লাহর কসম! হযরত ওসমান রাযিঃ এর ব্যাপার নিয়ে যুগযুগ পর্যন্ত যুদ্ধ চলতে থাকবে। এমনকি যারা এখনো পিতার ঔরশে রয়েছে তারাও পরবর্তীতে যুদ্ধে লিপ্ত হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৮৯ ]
হযরত আব্দুর রহমান ইবেন ফুজালা রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আদম আঃ এর পুত্র কাবিল যখন তার ভাই হাবিলকে হত্যা করে তখন আল্লাহ তাআলা তার আকলকে পরিবর্তন করে দেন এবং তার অন্তরের দয়া মায়া দূর করে দেয়া হয়। তার এ অবস্থা মৃত্যু পর্যন্ত বহাল থাকে এবং তার জ্ঞান-বুদ্ধি আর ফিরে আসেনি।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৯০ ]
হযরত হাসান রহঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাঃ বিভিন্ন অসচ্চরিত্রের আমীর এবং খারাপ চরিত্রের অধিকারী ইমামদের কথা উল্লেখ করে এ কথাও বলেছেন তাদের কারো কারো পথভ্রষ্টতা এত ব্যাপক হবে, যার কারনে আসমান-জমিনের মধ্যবর্তী স্থান ভরে যাবে। একথা শুনে কেউ কেউ জানতে চাইলেন, ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমরা তাদের মুখোমুখি হয়ে তাদেরকে হত্যা করবোনা? জবাবে রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা ফজরের নামায আদায় করে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারন করা যাবেনা।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৯১]
বিশিষ্ট সাহাবী হযরত আবু দারদা রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, অতিসত্ত্বর তোমরা এমন কতক বিষয় দেখতে পাবে যা তোমরা মারাত্মকভাবে ঘৃণা করবে। এমন অবস্থার সম্মুখিন হলে তোমরা ধৈর্য্যধারন করবে, এবং কোনো ধরনের প্রতিবাদ-বিরোধীতা করবেনা। বিরোধীতা সূলভ কোনো ভাষাও প্রকাশ করবেনা। যেহেতু এগুলোর শাস্তি আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে তাদেরকে অবশ্যই ভোগ করতে হবে।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৯২]
হযরত কা'ব রাযিঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমরা রাজা-বাদশাদের সত্য কথা শুনা থেকে বেঁচে থাক, কেননা, রাজা-বাদশাহগন তাদের এ অবস্থায় মাত্র একদিন স্থীর থাকে। ঐ দিনের পরই তার পরিবার-পরিজন ধ্বংস হয়ে যায়। কেননা, উঁচু কোনো পাহাড় ধসে পড়া কোনো রাজা-বাদশাহর অবস্থা পরিবর্তন করা থেকে অনেক সহজ।
[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৪৯৩ ]
Comments 0